Income Tax Rules, Income Tax Evasion and Penalties: আয়কর আইনে কর খেলাপিদের জন্য নানা অঙ্কের জরিমানা আরোপের বিধান রয়েছে। সেলফ-অ্যাসেসমেন্ট ট্যাক্স না দেওয়া, ট্যাক্স দেওয়ার ক্ষেত্রে ত্রুটি ইত্যাদির ক্ষেত্রে কড়া শাস্তির বিধান রয়েছে।
সময় মতো আয়কর জমা না দেওয়ার জন্য যেমন জরিমানা দিতে হয়, তেমনই আয় কম দেখিয়ে আয়কর ফাঁকি দেওয়াও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আয়ের আন্ডার-রিপোর্টিং বলতে সে সব ক্ষেত্রকে বোঝায় যেখানে করদাতাদের আয়ের রিটার্নে জমা দেওয়া আয়ের পরিমাণ করদাতাদের প্রকৃত আয়ের চেয়ে কম। আর এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শাস্তির বিধান রয়েছে।
আর পড়ুন: ৫ বছরে ৪৫% রিটার্ন, পোস্ট অফিসের এই স্কিমে দ্রুত বাড়বে পুঁজি
আয়ের ভুল রিপোর্টিং কী?
এটা বোঝাও খুব জরুরি। যেমন, তথ্যের ভুল উপস্থাপন বা গোপন রাখা, হিসাবের খাতায় বিনিয়োগ রেকর্ড করতে ব্যর্থতা, প্রমাণিত নয় এমন ব্যয়ের দাবি, হিসাবের বইয়ে কোনও ভুল এন্ট্রি রেকর্ডিং, হিসাব বইয়ে কোনও এন্ট্রি যা মোট আয়কে প্রভাবিত করে। রসিদ জমা দিতে ব্যর্থ হওয়া এবং কোনও আন্তর্জাতিক লেনদেন বা কোনও নির্দিষ্ট অভ্যন্তরীণ লেনদেন হিসাবে বিবেচিত কোনও লেনদেনের হিসাব দিতে ব্যর্থ হওয়া আয়ের ভুল প্রতিবেদনের পরিমাণ।
আয়কর স্ল্যাব
আয়কর আইন, ১৯৬১-এর দশম (X) অধ্যায়ে কর ফাঁকি সংক্রান্ত বিশেষ বিধান রয়েছে। অধ্যায়ের বিভিন্ন বিভাগে 'সংশ্লিষ্ট এন্টারপ্রাইজ', 'আন্তর্জাতিক লেনদেন', 'অস্পষ্ট সম্পদ' এবং 'নির্দিষ্ট লেনদেন'কে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। আয়কর বিভাগ আয়কে কম দেখানো বা আয় সংক্রান্ত ভুল বর্ণনা করার জন্য বিভিন্ন শাস্তিরবিধান এবং শর্তাবলী বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করেছে এবং করদাতারা এ বিষয়ে সবিস্তারিত জানার জন্য আয়কর বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে পারেন। নিয়ম মেনে চলার জন্য করদাতাদের আয়কর আইনের বিভিন্ন বিধান বোঝার জন্য একজন কর বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আয়কর আইনের অধীনে কী শাস্তি?
আয়কর বিভাগের মতে, জরিমানার হার হবে কম দেখানো আয়ের উপর দেওয়া করের ৫০%। তবে, যে ক্ষেত্রে আয় সংক্রান্ত তথ্য ভুল দেওয়া হয়েছে এবং যার ফলে আয়কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে ওই করদাতাকে আয়ের উপর প্রদেয় করের ২০০% হারে জরিমানার দিতে হতে পারে।