সদ্য শুরু হওয়া চলতি অর্থবর্ষে গৃহঋণে কর ছাড়ের সুবিধা প্রত্যাহার করল মোদী সরকার। সাধারণ বাজেটেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। কর ছাড়ের সুবিধা আর বাড়াননি। ফলে ৮০ইইএ (80EEA) ধারায় ছাড়ের সুবিধা আর পাওয়া যাবে না।
মধ্যবিত্তদের বাড়ি কেনার স্বপ্নপূরণের জন্য গৃহঋণের ছাড় দেওয়া শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে বাজেটে প্রথমবার বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য ব্যাঙ্কঋণের উপরে অতিরিক্ত কর ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। পরের আর্থিক বছরেও তা চালু ছিল। টানা তিন বছর এই প্রকল্প চলেছে। সস্তায় বাড়ি যাতে কিনতে পারেন মধ্যবিত্তরা সেজন্যই এই সুবিধা দিয়েছিল সরকার। এবারও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়তে পারে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে সেটা করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেট পেশের সময় এনিয়ে কোনও শব্দই খরচ করেনি নির্মলা সীতারমন। অতএব ৩১ মার্চেই শেষ হয়ে গিয়েছে এই সরকারি সুবিধা। এবার যাঁরা ফ্ল্যাট বা বাড়ি কিনবেন তাঁরা এই সুবিধা আর পাবেন না। তবে বাড়ি কিনতে গিয়ে ঋণের অনুমোদন যাঁরা ৩১ মার্চের আগে পেয়ে গিয়েছেন তাঁরা এই সরকারি কর্মসূচির সুবিধা পাবেন। ৮০ইইএ ধারায় কর ছাড়ের জন্য আবেদন করা যাবে।
অ্যাফর্ডেবল হাউজিং প্রোজেক্ট বা সস্তার আবাসন প্রকল্পে ৪৫ লক্ষ টাকার কমে গৃহঋণে অতিরিক্ত ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় মিলত। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি এনসিআর-র, হায়দরাবাদ, কলকাতা, মুম্বইয়ে ফ্ল্যাট বা বাড়ির কার্পেট এরিয়া ৬৪৫ বর্গফুটের মধ্যে থাকা দরকার। আর অন্যান্য শহরের ক্ষেত্রে ৯৬৮ বর্গফুটের বেশি নয়। নতুন ক্রেতাদের এই সুবিধা দেওয়ার কথা ২০১৯ সালের বাজেটে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। আয়করের ২৪(বি) ধারার উপরে বাড়তি ছাড় দেওয়া হচ্ছিল। ওই গৃহঋণের সুদের উপর ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় রয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির জেরে আবাসন ব্যবসা তলানিতে। মধ্যবিত্তের আয়েও খুব একটা হেরফের হয়নি। উল্টে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কমেছে পিএফে সুদের হার। স্বাভাবিকভাবে মধ্যবিত্তের হাতে টাকা কম। আয়করের বাড়তি সুবিধা পেলে গৃহঋণ নিয়ে বাড়ি বা ফ্ল্যাটে কেনার সুযোগ ছিল। এতে ক্রেতার সঙ্গে লাভবান হত ফ্ল্যাট নির্মাণকারী সংস্থাগুলিও।
আরও পড়ুন- কেদারনাথ খুলছে ৬ মে, কোথায়-কীভাবে বুকিং? রইল সব তথ্য