Weekend Destination, Bagda Sea Beach: অনেকেরই পাহাড়-জঙ্গলের চেয়েও সমুদ্র ভাল লাগে। কিন্তু তাই বলে বারবার দিঘা-মন্দারমণি-বকখালি-গোপালপুর যাওয়া যায়? সাগরপাড়ে ভ্রমণের স্বাদ বদলের জন্য কোনও অফবিট সি বিচ খুঁজছেন? তাহলে ঘুরে আসতে পারেন বাগদা সি বিচ থেকে।
ওড়িশার বালাসোরের কাছে অবস্থিত এই সি-বিচ সম্পর্কে এখনও অনেকেই জানেন না। তাই এখানে দিঘা-পুরীর মতো ভিড় একদমই পাবেন না। বাগদাকে প্রায় ভার্জিন একটা সি বিচ বললেই চলে। সি-বিচ জুড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে লাল কাঁকড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখানে এলে বেশ ফাঁকা নিরিবিলি সমুদ্রে একদম অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা হবে আপনার।
বাগদা সি বিচের ধারের ঝাউ গাছের ছায়ায় রয়েছে টেন্টের ব্যবস্থা। পাবেন সাজানো গোছানো ক্যাম্পও। কিছু ক্যাম্পে কুলারও আছে। যদিও এখন এখানে এলে কুলারের প্রয়োজন পড়বে না একেবারেই। এখানে বোটে করে সমুদ্রে ঘোরার সুযোগও পাবেন। তবে ক্যাম্প বুকিংয়ের সময় ফোনে সে বিষয়ে কথা বলে নিতে হবে। রাতে বনফায়ারের ব্যবস্থাও পাবেন। আগে থেকে জানিয়ে রাখলে বারবিকিউর ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে।
কীভাবে যাবেন?
ওড়িশার বালাসোর রেলস্টেশন থেকে অটো বা ট্রেকারে ৩০ কিলোমিটার দূরে ঝাউ জঙ্গলে ঘেরা এই নিরিবিলি সমুদ্রতট। তাই হাওড়া অথবা শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে গেলেই তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে পারবেন। বাই রোড গেলে কলকাতা থেকে মোটামুটি সাড়ে ৫ ঘণ্টার পথ।
থাকা-খাওয়ার মাথাপিছু খরচ:
এখানে পর্যটকদের ভিড় বিশেষ নেই। তাই দিঘা-পুরির মতো হোটেল-লজও বিশেষ নেই। হাতে গোনা কিছু ক্যাম্প আর কটেজ রিসর্ট আছে। চাইলে ইজিপিসো ব্যাকপ্যাকের্স-এর ক্যাম্পে দুটো রাত কাটিয়ে যেতে পারেন। থাকা-খাওয়ার মাথাপিছু খরচ পড়বে মোটামুটি ১,৪০০ টাকা। এর মধ্যে সকালের ব্রেকফাস্ট, দুপুরের লাঞ্চ, সন্ধের টুকটাক আর রাতের খাবার ধরা আছে। বোটিং আর বারবিকিউর খরচ আলাদা।