হঠাৎ আর্থিক টানাটানি হলে পার্সোনাল লোন বা ব্যক্তিগত ঋণ নিয়ে থাকেন বহু মানুষ। জরুরি কাজে ব্যক্তিগত ঋণ সহায়তা করে। গাড়ি বা গৃহঋণ নিলে নির্দিষ্ট খাতেই খরচ করতে হয়। কিন্তু পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে থাকে না তেমন বাধ্যবাধকতা। পার্সোনাল লোনের অর্থ কোথায় ব্যয় করবেন সেই সিদ্ধান্ত নেন ঋণগ্রহীতাই। সে কারণে পার্সোনাল লোন অত্যন্ত কাজের। সস্তার কিস্তিতে একটি নির্দিষ্ট সময় মিটিয়ে দেওয়া যায়। সেই সঙ্গে কোনও নথি বা ন্যূনতম তথ্য দিয়ে সহজেই মেলে ব্যক্তিগত ঋণ। এজন্য অতিরিক্ত ঝক্কি পোয়াতে হয় না।
আনসিকিয়োর্ড লোন (Unsecured Loan)
ব্যক্তিগত ঋণ হল আনসিকিয়োর্ড লোন। এই ঋণ নিতে গেলে কোনও সম্পদ গচ্ছিত রাখার বাধ্যবাধকতা নেই। ব্যাঙ্ক এই ধরনের ঋণের উপর নির্দিষ্ট ফি এবং চার্জ নেয়। সুদের হার ক্রেডিট স্কোরের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। পার্সোনাল লোনের উপর নির্দিষ্ট ফি এবং চার্জ নেয় ব্যাঙ্ক।
লোন প্রসেসিং চার্জ- লোন প্রসেসিং চার্জ নেয় ব্যাঙ্কগুলি। সেই হার সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ শতাংশ ব্যাঙ্ক স্থির করে রাখে। যা সাধারণত ০.৫ শতাংশ থেকে ২.৫০ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। ঋণ দেওয়ার সময় এই চার্জ নেয় ব্যাঙ্ক।
ভেরিফিকেশন চার্জ- ব্যাঙ্ক ঋণ মঞ্জুর করার আগে পরিশোধের ক্ষমতা যাচাই করে নেয়। সাধারণত ঋণগ্রহীতার শংসাপত্র ও নথি যাচাই করার জন্য একটি তৃতীয় পক্ষের সংস্থা নিয়োগ করা হয়। সংস্থাটি রেডিট রিপোর্ট এবং ঋণ পরিশোধের ইতিহাস পরীক্ষা করে৷ যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার খরচ ঋণগ্রহীতাকেই দিতে হয়।
ইএমআই ডিফল্ট পেনাল্টি- ব্যক্তিগত ঋণে নির্দিষ্ট সময় অন্তর দিতে লাগে ইএমআই। সেটা প্রতি মাসে দিতে লাগে। মাসের নির্দিষ্ট তারিখে ইএমআই দিতে ঋণগ্রহীতা ব্যর্থ হলে জরিমানা দিতে হয়। সুতরাং দ্রুত ঋণ পরিশোধ করার চেষ্টা করার পরিবর্তে সামর্থ্যের মধ্যে EMI-র পরিমাণ বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
জিএসটি- GST একটি নামমাত্র চার্জ। ঋণগ্রহীতার উপর ঋণ মঞ্জুরি বা পরিশোধের সময়ে এই চার্জ নেওয়া হয়।
প্রিপেমেন্ট/ফোরক্লোজার পেনাল্টি- ব্যাঙ্কগুলির অর্থ উপার্জনের অন্যতম উপায় হল সুদ। মেয়াদের আগে ঋণ পরিশোধ করলে ব্যাঙ্কের ক্ষতি হতে পারে। এই ক্ষতি পূরণের জন্য ব্যাঙ্ক একটি প্রিপেমেন্ট জরিমানা আরোপ করতে পারে। সাধারণত, ব্যাঙ্কগুলি ২-৪% প্রিপেমেন্ট/ফোরক্লোজার চার্জ নেয়।