কয়েক মাস পর সামান্য কমে আসা পেট্রোলের দাম আবার বাড়তে পারে। এর কারণ হল অশোধিত তেলের দামে আগুন। অপরিশোধিত তেলের দাম এখন ৭ বছরের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এখন (ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল প্রাইস) ব্যারেল প্রতি ৮৭ ডলার (ব্যারেল প্রতি প্রায় ৬,৪৯০ টাকা)। অপরিশোধিত তেলের এই বৃদ্ধি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিকভাবে দেখা যাচ্ছে। জেনে নিন পেট্রোল-ডিজেলের দর কতটা বাড়তে পারে...
২০২১ সালে, অপরিশোধিত তেলের দামে ৫০ শতাংশের বিশাল বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছিল। পণ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২২ সালেও অপরিশোধিত তেলের দামের বৃদ্ধির ধারা অব্যহত থাকবে। তেলের উৎপাদন ক্ষমতা যেমন তরান্বিত হচ্ছে না, তেমনি পেট্রোলিয়াম খাতে বিনিয়োগও সীমিত। এমন পরিস্থিতিতে চাহিদা বৃদ্ধির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলারে পৌঁছতে পারে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের অনুমান, ২০২২ সালে অপরিশোধিত তেলের দাম ৮ ডলার বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এটি ৭৫ ডলারে পৌঁছতে পারে। ২০২৩ সালে, এই দাম ১৭ ডলার বেড়ে ৭৭ ডলারের স্তরে পৌঁছাতে পারে। একই সময়ে, জেপি মরগান অনুমান করেছে যে, এই বছরের শেষের দিকে অপরিশোধিত তেলের দাম ৯০ ডলারে পৌঁছতে পারে।
OPEC ভুক্ত দেশগুলো উৎপাদন বাড়ানোর কথা ভাবছে না। এমন পরিস্থিতিতে অপরিশোধিত তেলের দাম ১০০ ডলারে পৌঁছে যেতে পারে। OPEC+ দেশগুলো ধীরে ধীরে অপরিশোধিত তেলের সরবরাহ বাড়াচ্ছে। একই সঙ্গে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যেও আশঙ্কা রয়েছে যে, করোনার নতুন রূপের কারণে আবার লকডাউনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যার কারণে হঠাৎ করে চাহিদা কমে যেতে পারে। মরগান স্ট্যানলি অনুমান করেছেন যে, এই বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে, অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৯০ ডলারে পৌঁছে যাবে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এই দ্রুত বাড়লে দেশীয় স্তরেও বাড়তে পারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। অপরিশোধিত তেলের দাম ৯০ ডলারে পৌঁছলে দেশীয় জ্বালানির দাম প্রতি লিটারে ২ থেকে ৩ টাকা বাড়তে পারে।