Advertisement

SSKM Stroke Unit : SSKM-এ চালু দেশের সবচেয়ে বড় স্ট্রোক ইউনিট, বেডের সংখ্যা ৫৯

এসএসকেএম হাসপাতালের অধীনে থাকা ভবানীপুরের রামরিকদাস হরলালকা ও কলকাতা পুলিশ হাসপাতালে চালু হল স্ট্রোক ইউনিট। এর মধ্যে ভবানীপুরের রামরিকদাস হরলালকা হাসপাতালের ছ'তলায় খোলা হয়েছে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (HDU)। সঙ্কটাপন্ন রোগীদের যাতে অপেক্ষা না করিয়ে দ্রত চিকিৎসা দেওয়া যায়, সেই জন্যই খোলা হয়েছে এই ইউনিট। অন্যদিকে পুলিশ হাসপাতালের তিন তলায় তৈরি হয়েছে ৪০ বেডের স্ট্রোক ওয়ার্ড।

এসএসকেএম-এ স্ট্রোক ইউনিট
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 04 May 2023,
  • अपडेटेड 12:00 PM IST
  • এসএসকেএম- স্ট্রোক ইউনিট চালু
  • মিলবে স্ট্রোকের আরও ভাল চিকিৎসা
  • বেডের সংখ্যা ৫৯

স্ট্রোক (Stroke) এমনই এক রোগ, যা কার্যত রোগীকে সময়ই দেয় না। তাই স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। স্ট্রোক হওয়ার পর প্রথম চার ঘণ্টা সময়েই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টাকে বলে গোল্ডেন আওয়ার। এই সময়ে সঠিক পদক্ষেপ করতে পারলে তবেই রোগীকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব। এবার তাই স্টোকে আক্রান্ত রোগীদের বাঁচাতে কলকাতার এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে চালু হল ৫৯ বেডের স্ট্রোক ইউনিট। শোনা যাচ্ছে, এটিই নাকি দেশের সবচেয়ে বড় স্ট্রোক চিকিৎসাকেন্দ্র।

এসএসকেএম হাসপাতালের অধীনে থাকা ২টি অ্যানেক্স হাসপাতাল ভবানীপুরের রামরিকদাস হরলালকা ও কলকাতা পুলিশ হাসপাতালে চালু হল স্ট্রোক ইউনিট। এর মধ্যে ভবানীপুরের রামরিকদাস হরলালকা হাসপাতালের ছ'তলায় খোলা হয়েছে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (HDU)। সঙ্কটাপন্ন রোগীদের যাতে অপেক্ষা না করিয়ে দ্রত চিকিৎসা দেওয়া যায়, সেই জন্যই খোলা হয়েছে এই ইউনিট। অন্যদিকে পুলিশ হাসপাতালের তিন তলায় তৈরি হয়েছে ৪০ বেডের স্ট্রোক ওয়ার্ড। সেখানেও অ্যাকিউট স্ট্রোক রোগীদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দু'টি জায়গায় রয়েছে মোট ৫৯টি বেড। বাঙ্গুরের নিউরোমেডিসিন বিভাগে বর্তমানে রয়েছে মোট ১৮০টি বেড। তার তিনভাগের একভাগ শয্যাই বরাদ্দ হল স্ট্রোক রোগীদের জন্য‌। আর বাকি শয্যাগুলিতে প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য নিউরো রোগীদের পাশাপাশি স্ট্রোকের রোগীদেরও ভর্তি করা হচ্ছে। 

প্রসঙ্গত,সারা বিশ্বেই দিনদিন বাড়ছে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। পিছিয়ে নেই ভারতও। ভারতে বছরে স্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যাটা প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজারের কাছাকাছি। স্ট্রোক (Brain Stroke) সাধারণত দুই প্রকার। হেমারেজিক ও ইস্কিমিক স্ট্রোক। হেমারেজিক স্ট্রোকে ব্রেনের শিরা ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়। ইস্কিমিক স্ট্রোকে মস্তিষ্কে রক্তনালিতে রক্ত জমাট বেঁধে সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। আগে বয়স্করাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হতেন। তবে বর্তমানে কম বয়সিরও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে সবক্ষেত্রেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 
 

Advertisement

আরও পড়ুন - বজবজে গুলিবিদ্ধ সাক্ষী, প্রকাশ্যে CCTV ফুটেজ

 

TAGS:
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement