করোনা আবহে প্রায় দু'বছর বন্ধ স্কুলের পঠন-পাঠন। স্কুল বন্ধ থাকার সুযোগে সম্পূর্ণ স্কুল চলে গেছে জবরদখলকারীদের দখলে। আর সেই জবরদখলকারী হল বাদুড়।
এক-দু'টো নয়, শয়ে শয়ে বাদুড় সেখানে। ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান মহারাজ তেজচাঁন্দ্র রাইয়ের আমলে তৈরী প্রাচীন স্কুল হল রাজ কলেজিয়েট স্কুলের।
বর্তমানে প্রাচীন এই স্কুল চত্বরে বাসা বেঁধেছে ছোট, বড় কয়েক হাজার বাদুড়।
সম্পূর্ণ স্কুল দখল নিয়ে দিনের পর দিন নিশ্চিন্তে নিজেদের রাজ্যত্ব চালিয়ে যাচ্ছে বাদুরের দল। ফলে স্কুলে একটা ভূতুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয়েছে, চরম সমস্যায় পরেছে স্কুলের শিক্ষক থেকে শিক্ষা কর্মীরা।
মাঝেমধ্যে সরকারি চাকরির পরীক্ষার কেন্দ্র পড়ছে এই রাজ কলেজিয়েট স্কুলে। সর্বত্র বাদুরের উপদ্রবের মধ্যে কী ভাবে সম্ভব সরকারি চাকরির পরীক্ষা তা নিয়ে সমস্যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, খুব দ্রুত করোনা আবহ কাটিয়ে রাজ্য খুলতে পারে সমস্ত স্কুল।
এই অবস্থায় রাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ বাদুর মুক্ত করতে, স্কুল দখল করে থাকা হাজার বাদুর কে তাড়াতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও বন দফতরের দ্বারস্ত হয়েছে।
স্কুলের সহকারি শিক্ষক হেমেনন্দ্রনাথ সরকার জানান, মাস দুয়েক হল এটা দেখতে পাচ্ছি। বাদুড় ভরে গিয়েছে। এখানে আগে পায়রা ছিলই। বন দফতরকে জানানো হয়েছে। তারা বোমা ফাটিয়ে কমানোর চেষ্টা করেছে। তবে এদিকওদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে।
তিনি আরও জানান, বিষ্ঠার গন্ধে অতিষ্ঠ। বাদুড়, পায়রা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার। ২২ তারিখে পরীক্ষা তো আছেই। তবে স্কুল খুললে তো এ ভাবে ক্লাস নেওয়া যাবে না।
স্কুলের শিক্ষক প্রবীর মন্ডল জানান, লকডাউনের সময় অনেক বাদুড় চলে এসেছে। গোটা স্কুলে দুর্গন্ধে ভরে গিয়েছে। মশাল জ্বালিয়েছিলাম। তখন কিছু গিয়েছিল। পুরো স্কুলেই রয়েছে। আতঙ্কে আছি বসবে কোথায়। বন দফতরকে বলা হয়েছিল। তারা এসেছিল। অল্প বাদুড় তাড়িয়েছে।
তিনি আরও জানান, চারিদিকে ছড়িয়ে গিয়েছে। যে কোনও উপায়ে সরাতে হবে। না হলে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। আর স্কুল চালু হলে ক্লাসও করানো যাবে না।