পরিবেশ দূষণ আর বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে বড় চিন্তায় সকলে। এ কারণে সবার ভাবনা 'গ্রিন এনার্জি' বা 'ক্লিন এনার্জি'। এরই অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে এক পেল্লায় চুম্বক।
তবে প্রশ্ন উঠতে পারে, একটা চুম্বক কী করতে পারে? অনেক কিছুই করতে পারে। কারণ এটি পৃথিবীর সবথেকে বড় চুম্বক। আর এটি কয়েক মাসের মধ্যেই পাল্টে দিতে পারে পৃথিবীর চেহারা। ছবি সৌজন্য: ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিঅ্যাক্টর (আইটিইআর)
এটি ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিঅ্যাক্টর (আইটিইআর)-এর অংশ। যার উদ্দেশ্য পৃথিবীতে সূর্যের সমান তাপ তৈরি করা। এই চুম্বকটি ৫৯ মিটার লম্বা এবং এর ব্যাস ১ ফুট। এর ওজন প্রায় ১ হাজার কেজি।
এই চুম্বকটি তৈরি করেছে জেনারেল অ্যাটোমিক্স। নকসাও তাদেরই তৈরি করা।
কেমন এর কার্যক্ষমতা? শুনলে তাক লেগে যেতে পারে। এটি এতই শক্তিশালী যে ১ হাজার ফুট লম্বা এবং ১ লক্ষ টনের কোনও বিমানকে মাটি থেকে ৬ ফুট ওপরে তুলে দিতে পারে।
বলা হচ্ছে, এটি পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র (ম্যাগনেটিক ফিল্ড)-এর থেকে ২ লক্ষ ৮০ হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী হবে। কী নাম এই চুম্বকের? বিজ্ঞানীরা এর নামে রেখেছেন সেন্ট্রাল সোলানয়েড। এটি তৈরি হচ্ছে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া শহরে। এবার এটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ফ্রান্সে।ছবি সৌজন্য: ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিঅ্যাক্টর (আইটিইআর)
পেল্লায় এই জিনিসটি বানাতে ভারত, চীন, জাপান, কোরিয়া, রাশিয়া, ইংল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ডের মত দেশ থেকে অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। ছবি সৌজন্য: ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিঅ্যাক্টর (আইটিইআর)
এই যন্ত্র ৭৫ শতাংশ তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেন্ট্রাল সোলানয়েড ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিঅ্যাক্টর (আইটিইআর)-এর ফিউশন শক্তি তৈর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। ছবি সৌজন্য: ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিঅ্যাক্টর (আইটিইআর)
এই প্রকল্পে হাইড্রোজেন প্লাজমাকে ১৫০ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম করা হবে। যা সূর্য়ের ভেতরের তাপমাত্রার ১০ গুণেরও বেশি। ছবি সৌজন্য: ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিঅ্যাক্টর (আইটিইআর)
২০২৩ সালের মধ্যে সেটি তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে। এই চুম্বক ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিঅ্যাক্টর (আইটিইআর)-এর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। একে 'পৃথিবীর সূর্য' নামেও ডাকা হচ্ছে। ছবি সৌজন্য: ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিঅ্যাক্টর (আইটিইআর)
এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মানে ১৭ হাজার কোটি টাকা। এই যন্ত্রটিকে শক্তি উৎপাদনের ক্লিন উৎস বলা হচ্ছে। কারণ এর থেকে কোনও গ্রিন হাউজ গ্যাস বেরোবে না। ছবি সৌজন্য: ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার এক্সপেরিমেন্টাল রিঅ্যাক্টর (আইটিইআর)