Advertisement

ভাইরাল

কম খরচের গাড়ি বানিয়ে, মূল্যবৃদ্ধিকে কাঁচকলা দেখাচ্ছেন দুর্গাপুরের বিশ্বজিৎবাবু

অনিল গিরি
  • দুর্গাপুর,
  • 26 Sep 2021,
  • Updated 3:19 PM IST
  • 1/12

অগ্নিমূল্য জ্বালানি তেল। এরই মধ্যে থেকে রক্ষা পেতে ও বয়স্ক মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে দুর্গাপুরের এক ব্যাক্তি বিশ্বজিৎ সরকার ব্যাটারি চালিত চারচাকা গাড়ি বানিয়ে তাক লাগিয়েছেন।

  • 2/12

লকডাউনের দীর্ঘ সময়'কে কাজে লাগিয়ে স্ক্র্যাপ লোহা ও টিন সহ অব্যবহৃত সরঞ্জাম দিয়ে তিনি বানিয়ে ফেলেছেন জিপ গাড়ির মত সুন্দর একটি হুড ছাড়া ছোট্টো চারচাকা গাড়ি। বিশ্বজিতবাবু গাড়ির নামকরণ করেছেন 'ভিন্টেজ কার'। কারটি নিয়ে রাস্তায় ঘুরতেই কারটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছে কৌতুহলী মানুষ। 
 

  • 3/12

তাঁর দাবি, শিল্পাঞ্চলের সুসজ্জিত শহরে প্রকৃতিবান্ধব ওই গাড়িটি মানুষের হাতে পৌঁছালে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। পাশাপাশি প্রকৃতিও দূষণ মুক্ত থাকবে। ইতিমধ্যেই তিনি গাড়িটির স্বীকৃতি ও শংসাপত্র পাওয়ার জন্য দুর্গাপুর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির সাথে যোগাযোগ করেছেন।

  • 4/12

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লf এলাকার বাসিন্দা বছর ৪৫ 'র বিশ্বজিৎ সরকার।  তিনি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন।  এক সময় বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। ওই চাকরি ছেড়ে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। ভিড়িঙ্গি এলাকায় তাঁর একটি ইলেক্ট্রনিক স্কুটারের শোরুম রয়েছে।

  • 5/12

করোনা আবহে লকডাউন থাকায় তাঁর শো- রুম দীর্ঘদিন বন্ধ ছিলো। সেই সময় তিনি দুর্গাপুরের বয়স্ক মানুষদের এবং মধ্যবিত্তের কথা মাথায় রেখে ব্যাটারি চালিত চারচাকা গাড়ি তৈরীর ভাবনাচিন্তা করেন।

  • 6/12

তিনি স্কুটারের চারটি চাকা, ৬০ ভোল্টের একটি ব্যাটারি ও শক্তিশালী মোটর তড়িঘড়ি জোগাড় করেন। এছাড়াও  পুরোনো টিন, লোহার রড, ফেলে দেওয়া পুরোনো গাড়ির স্ট্রিয়ারিং , গিয়ার লিভার সহ একাধিক সরঞ্জাম জোগাড় করেন।

  • 7/12

বাড়িতে বসেই নিজের হাতে শুরু করেন গাড়ির তৈরীর কাজ। প্রায় তিন মাসে তিনি গাড়িটি তৈরী করে ফেলেন। গাড়িটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৬ ফুট ও প্রস্থ প্রায় তিন ফুটের হয়।

  • 8/12

গাড়িটি দেখতে কিছুটা হুড খোলা জিপ গাড়ির মত রুপ নেয়। ওই গাড়িতে একজন চালক ও তাঁর পাশে একজন যাত্রী বসার ব্যবস্থা রয়েছে। গাড়ির ব্যাটারি ইলেক্ট্রিসিটির সাহায্যে চার্জ করতে হয়। প্রায় ৪ ঘন্টা চার্জ দিলে ফুল চার্জ হয়ে যায়। ওই চার্জে প্রায় ৬০ কিলোমিটার চলে গাড়িটি। আধুনিক রুপ পেয়ে গাড়িটি এখন শহরবাসীর নজর কাড়ছে।

  • 9/12

বিশ্বজিৎবাবু বলেন, একবার ব্যাটারি ফুল চার্জ দিতে প্রায় তিন ইউনিট ইলেক্ট্রিসিটি লাগে। প্রায় ২০ টাকার ইলেক্ট্রিসিটি খরচ করে ৬০ কিলোমিটার চলাচল করা যায়। গাড়ির সর্বোচ্চ গতি প্রায় ৩০ কিলোমিটার।

  • 10/12

এবং ৪ কুইন্ট্যাল ওজন নেওয়ার মত ক্ষমতাশালী এই গাড়িটি। গাড়িটির এখনও কোনও হুড তৈরী করা হয়নি। শারীরিক পরিশ্রমের মজুরি বাদ দিয়ে গাড়িটি তৈরী করতে প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

  • 11/12

আমি এই গাড়িটি বানিয়েছি জ্বালানি তেলের মূল্য ও উর্ধ্বমুখী বলে। এছাড়াও আমাদের শহরে বহু বয়স্ক মানুষ আছেন। যাঁদের ছেলে মেয়ে কেউ নেই বা থাকলেও চাকরি ও ব্যবসার সূত্রে ভিন রাজ্যে বা দেশে বসবাস করেন। ওই বয়স্ক মানুষ গুলি এই ধরনের ছোটো গাড়ি করে অনায়াসে যেখানে সেখানে যেতে পারবেন।

 

  • 12/12

এছাড়াও  দুর্গাপুরের জনবহুল ও ভিড়ভাট্টা এলাকায় অতি সহজে যানজট থেকে মুক্তি পাবেন। আমি গাড়িটি সব সময় চালাই। বহু জায়গায় যাই। বহু কৌতুহলী মানুষ গাড়িটি ঘিরে নানান প্রশ্ন করেন। এটাই আমার ভালো লাগে। আমি গাড়ির সরকারি স্বীকৃতি ও শংসাপত্র পাওয়ার জন্য  দুর্গাপুর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে আলোচনা করেছি।

Advertisement
Advertisement