Kolkata Restaurant: এখানকার খাবারের দাম নিয়ে কথা বলতে গেলে সেই চটুল কথা মনে পড়ে যায়। পাগলা খাবি কী, ঝাঁজে মরে যাবি। ঠিক তাই। (ছবি: ফেসবুুক/প্রতীকী)
ওই দোকানের খাবারের স্বাদ বা গুণমান যেমনই হোক না কেন, দাম শুনলে আপনাকে থমকে যেতে হবে। এতটাই চড়া সেই দাম।
আর সেই দামের সূত্রেই নেট নাগরিকদের কটাক্ষের শিকার কলকাতার এক রেস্তোরাঁ।
তবে সমালোচকদের রসবোধের তুলনা নেই। এক-একটি মন্তব্য সাজিয়ে রাখার মতো।
যাকে নিয়ে চর্চা সে হল ইলিশ ট্রুলি বং নামে এক রেস্তোরাঁয়। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের খাবারের একটু মেনু কার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আর তারপরই রসিকতা এবং সমালোচনা কটাক্ষ যাই বলি না কেন তার শিকার হয়েছে ওই রেস্তোরাঁ। কারণ তাদের খাবারের দাম। সত্যি খাবারের দাম লাগামছাড়া। এবার অনেকে বলতে পারেন যাদের বেশি মনে হবে তারা যাবেন না।
হ্যাঁ, না-ই যেতে পারেন। তবে কটাক্ষ করতে কেউ ছাড়ছেন না। সেখানকার হাঁসের ডিমের ডেভিল ১৮০ টাকা বরিশালের মাছের পাতুরি এক পিস দুশ কুড়ি টাকা। এই সবই তাদের মেনুকার্ড দেখে জানা যাচ্ছে।
এর পাশাপাশি পোস্তর বড়ার দাম তাঁরা ধরেছেন দেড়শো টাকা। মোচার চপ ৮০ টাকা। পাড়ার দোকানের মোচার চপের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে?
মিষ্টি বাঙালি অতি প্রিয়। দু'টি সন্দেশের দাম এখানে ১০০ টাকা।
রেস্টুরেন্টটি পার্ক স্ট্রিটে অবস্থিত। অ্যালেন পার্কের উল্টোদিকে।
মিষ্টি দই ১১০ টাকা সেখানে। বলা নেই কতটা দেওয়া হবে নিশ্চয়ই কেজি কেজি নয়।
বাঙালির আরও এক প্রিয় খাবার আলুপোস্ত। যা দিয়ে পুরো ভাত সাবাড় করে দেওয়া যায়। কিন্তু এখানে এলে থমকে যেতে হবে। কারণ আলুপোস্তর দাম ২৪০ টাকা। অন্যদিকে আলুভাজা দাম ৮০ টাকা। তবে ওই টাকায় আপনি বেগুনভাজা, কুমড়োভাজা, পটলভাজাও মুখে পুরতে পারেন।
এবার চলে আসি নেট-রসিকদের কথায়। ইন্দ্র সরকার নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, এত সস্তা যাব না, আরেকটু দামটা বাড়ান। মনসিজ রায় নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, এত কম দামি রেস্টুরেন্টে আমরা যায় না। হাঁসের ডিমের ডেভিল ১৮০ টাকা। এই হাঁসটা কি সোনার ডিম পাড়ে? সরল প্রশ্ন তাঁর। অরিজিৎ সেন নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংযোজন, এএমআইতে খাওয়া যাবে? না মানে পটলভাজা ৮০ টাকা, হাঁসের ডিমের ডেভিল ১৮০ টাকা, এরপর দু'টো সন্দেশ ১০০ টাকা, আবার জিএসটি নেবেন।