বিমানবন্দরে শরীরচর্চা, বাইক রেসিং। এমন কথা শুনলে আশ্চর্য হয়ে যেতে হয়।
তবে এটা বানানো নয়। বা ছেলেভোলানো কোনও গল্প নয়। সবই বাস্তব।
মালদা বিমানবন্দরে এলে এমনই দেখা যাবে।
সে পর্যন্ত ঠিকই ছিল। তবে সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপও হয়।
আর এতেই ভয়ে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা দাবি তুলেছে, সংস্কার করে তা বিমান চলাচলের যোগ্য করে তুলতে হবে। এবং অবিলম্বে বিমান চালাতে হবে।
ব্যবসায়ীরা মনে করছেন তা করা গেলে এলাকার ছবি পাল্টে যাবে। অনেকের কর্মসংস্থান হবে। ফলে মানুষের উপকার হবে।
দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে মালদার বিমানবন্দর। মালদার এই বিমানবন্দরকে চালু করার জন্য কয়েক বছর আগে উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য সরকার।
কাজও শুরু হয়েছিল রানওয়ের। কিন্তু মাঝপথে বেশ কিছু জটিলতার কারণে বন্ধ হয়ে যায় মালদা বিমানবন্দর সংস্কারের কাজ।
বর্তমানে এই বিমানবন্দরে এখন সাধারণ মানুষের প্রাতর্ভ্রমণ এবং তরুণতরুণীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে।
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সী ছেলেমেয়েরা এই বিমানবন্দরে এসে ভিড় করছেন।
কেউ আড্ডা দিচ্ছেন। আবার কেউ শরীরচর্চায় ব্যস্ত। বিমানবন্দরের রানওয়ের মধ্যেই চলছে টিনএজারদের একাংশের বাইক রেসিং।
এই পরিস্থিতিতে মালদার বাসিন্দারা দ্রুত বিমানবন্দর চালানোর চালু করার দাবি জানিয়েছেন।
মালদা শহরের বাগবাড়ি এলাকা যাবার পথেই মালদা-মানিকচক রাজ্য সড়কের ধারেই রয়েছে কয়েক'শ একর জমির ওপর মালদার বিমানবন্দরটি।
কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমানবন্দর চালু করা নিয়ে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তারপরে শুরু হয়েছিল সংস্কারের কাজ। কিন্তু মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় সংস্কারের কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ফাঁকা বিমানবন্দরে অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়ছে। কবে এই বিমানবন্দরটি চালু হবে সে ব্যাপারে জানতে চাইছেন মালদার মানুষ।
মালদায় বিমানবন্দরটি চালু হলে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে বলে দাবি করেছেন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু।
জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।