Oppiella Nova Beetle: ছোট একটি পোকা। আর সবার জন্য বিস্ময়ের। এর যে এই ক্ষমতা রয়েছে জানলে মানবেন। তার আগে বলে দিই আকার কত। এক মিলিমিটারের পাঁচ ভাগের এক ভাগ এটি। এটি পৃথিবীতে থাকা কয়েকটি জীবের মধ্যে পড়ে যা যৌনতা ছাড়াই টিকে থাকতে পারে। কোনও শারীরিক সম্বন্ধ ছাড়াই টিকে থাকতে পারে। বা বলা যেতে পারে রয়েছে।
বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে অযৌন (Asexual) জনন । এটি আসলে একটি গুবরে পোকা। যার নাম ওপ্পেইলা নোভা (Oppiella Nova)।
বিজ্ঞানীরা নিজেদের গবেষণায় দেখেছেন, প্রকৃতি এর সঙ্গে যেন প্রতারণা করেছে। আসুন দেখি এর ব্য়াপারে আর কী জানা গিয়েছে।
ওপ্পেইলা নোভা (Oppiella Nova)-এর সঙ্গে প্রকৃতি এক বড়সড় খেলা করেছে। এই প্রাণীটির পুরুষ বা নর বলে কিছু হয় না। শুধু থাকে নারী। আর তাই বিজ্ঞানীরা এই ঘটনাকে প্রাচীন অযৌন দুর্নীতি (Ancient Asexual Scandal) বলেছেন।
তবে বিজ্ঞানীরা এটা জানতে পারেননি, সেগুলি শারীরির ভাবে মিলিত না হয়ে প্রজনন করে কীভাবে। এর কারণ যেহেতু জানা যায়নি, তাই বিজ্ঞানীরা এটা মেনে নিয়েছেন, সেগুলি এমন ভাবে লুকিয়ে ছিল, যাকে বিজ্ঞানীরা খুঁজে পাননি।
এদের নিয়ে গবেষণা করেছিল আলেকজান্ডার ব্রেট নামে এক বিজ্ঞানী। আর তখন তিনি ওই গুপ্ত এই বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পারেন। তাঁর দাবি, পোকাটির গোপন কোনও সেক্সুয়াল সম্পর্ক আছে। যার ব্যাপারে আমাদের জানা নেই। তিনি জানান, এটা বেশ দুর্লভ ব্য়াপার। কোনও নর নেই, তারপরও শারীরিক ভাবে মিলিত হওয়া এবং নতুন প্রাণ আনা। এটা কোনও না কোনও মাধ্যমে হওয়া দরকার। যদি না তা সাধারণ কোনও উপায়ে হয়ে থাকে। যেমন ছেলের বীর্য মেয়ে পোকার শরীরে অনেক সময় হাওয়া, জল বা অন্য কীটের মাধ্য়মে পৌঁছতে পারে।
এদিকে, ওপ্পেইলা নোভা (Oppiella Nova) প্রাণীটি এতই ছোট যে তার শরীরে তেমন ভাবে তা পৌঁছনো বেশ কষ্টকর। কারণ শারীরিক সম্পর্ক ছাড়া কোনও জীবের দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব।
ইউনিভার্সিটি অফ কোলোন অ্যান্ড গান্টিজেনের বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা করেছেন। সেখানে অ্যালেকজান্ডার ব্রেটও ছিলেন। তাঁদের দাবি, ওপ্পেইলা নোভা (Oppiella Nova) কয়েক শতক ধরে বিনা শারীরিক সম্পর্কে বেঁচে রয়েছে। লাখো বছর তারা বেঁচে থাকতে পারে। এটা একটা বড়সড় রহস্য।