ইংল্যান্ডের রাজপথে সম্প্রতি এক আশ্চর্যজনক দৃশ্য দেখা গেছে। যখন সারা শরীরে বডি পেইন্ট করা কয়েকশ লোক সাইকেলের উপর নগ্ন হয়ে বসে ঘুরে বেড়ালেন। এই ব্যক্তিদের বেশিরভাগেরই দেহে কেবলমাত্র বডি পেইন্ট লাগানো ছিল।
(প্রতিকী ছবি- Getty images)
এই গ্লোবাল প্রতিবাদটির উদ্দেশ্য ছিল সাইক্লিস্টদের সুরক্ষার জন্য সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। এর বাইরেও এই প্রতিবাদের উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে সচেতন করা। ওয়েলস অনলাইন এর সাথে কথোপকথনে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজকরা তাদের এমন প্রতিবাদের কারণগুলি জানান।
(প্রতিকী ছবি- Getty images)
তাঁরা বলেন যে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে গাড়ির উপর আমাদের নির্ভরতা হ্রাস করে বেশি সাইকেল ব্যবহার করা উচিত। সাইক্লিস্টদের সুরক্ষার জন্য বিশেষত শহর ও জনাকীর্ণ অঞ্চলে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া উচিত, এটিও গুরুত্বপূর্ণ।
(প্রতিকী ছবি- Getty images)
তারা আরও বলেন যে জীবাশ্ম জ্বালানী কীভাবে ন্যূনতমভাবে ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কেও সকলের গুরুত্ব সহকারে চিন্তা করা উচিত। এগুলি ছাড়াও আমরা ক্রমাগত বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের বিপদগুলি দেখছি ।
(প্রতিকী ছবি- Getty images)
এই নগ্ন প্রতিবাদকারীদের যাত্রা ২৫ জুলাই কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়েছিল। এর পরে, এই সমস্ত বিক্ষোভকারী সিভিক সেন্টার, সিটি সেন্টার, কার্ডিফ বে, সেন্ট মেরি স্ট্রিট, পন্টকানা এবং ক্যান্টনের মতো জায়গায় পৌঁছেছিল। পরে কাফেলা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে প্রতিবাদ শেষ করে দেয়।
(প্রতিকী ছবি- Getty images)
এই পারফরম্যান্সের সময়, অনেক লোক নগ্ন ছিল এবং এমন অনেক লোক ছিলেল যারা পুরোপুরি টপলেস। যাইহোক, এই সময়ে বেশিরভাগ বিক্ষোভকারীরা তাদের দেহে বডি পেইন্ট প্রয়োগ করেছিলেন এবং তাদের বাইক এবং সাইকেল পোস্টার এবং বিক্ষোভের অন্যান্য জিনিসগুলি দিয়ে সজ্জিত ছিল।
(প্রতিকী ছবি- Getty images)
এই ইভেন্টটি ২০০৪ সালে প্রথম শুরু হয়েছিল। প্রতিবছর প্রায় এক হাজার লোক যুক্তরাজ্যে এই ইভেন্টে অংশ নেন। এই গ্লোবাল বাইকের যাত্রাটি কেবল যুক্তরাজ্যেই নয় মাদ্রিদ, মেক্সিকো সিটি এবং টরন্টোর মতো শহরেও অনুষ্ঠিত হয়।
(প্রতিকী ছবি- Getty images)
লক্ষণীয় বিষয় যে যুক্তরাজ্যে কোনও প্রকাশ্য স্থানে নগ্ন হওয়া অবৈধ নয়। তবে যদি কোনও ব্যক্তি নগ্ন হয়ে প্রকাশ্য স্থানে অশ্লীলতা করেন তবে তা অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে।
(ছবির ক্রেডিট: রয়টার্স)