বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ গত কয়েকমাসে অনেক লোককে সহায়তা করেছেন। তবে এও ঠিক যে তাঁরা সব জায়গায় থাকতে পারে না। তাই এবার হায়দরাবাদের এক বাসিন্দা সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন। ওই ব্যক্তি জোমাটোর এক ডেলিভারি বয়কে সুপারফাস্ট গতিতে চা সরবরাহের জন্য অনন্য উপহার দিয়েছেন। (ছবি সৌজন্যে: রবিন মুকেশের ফেসবুক)
আসলে, হায়দরাবাদের কোটি এলাকায় বসবাসকারী রবিন মুকেশ আইটি সেক্টরে কর্মরত এবং বর্তমানে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন। তিনি সকাল দশটার দিকে ফুড ডেলিভারি অ্যাপ জোমাটো-তে চায়ের অর্ডার করেছিলেন এবং সেই সময় প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। (ছবি সৌজন্যে: রবিন মুকেশের ফেসবুক)
রবিন এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন- আমার অফিসের সময় শুরু হয়েছিল এবং আমি জোমাটো থেকে চা অর্ডার করেছিলাম। আমি দেখেছিলাম যে মোহাম্মদ আকিল নামের একটি ডেলিভারি বয় সেই সময় মেহেদীপত্নমে উপস্থিত ছিল। আমি পরবর্তী ১৫ মিনিটের মধ্যে ওই ডেলিভারি বয়ের কাছ থেকে একটি কল পাই। (ছবি সৌজন্যে: রবিন মুকেশের ফেসবুক)
তিনি আরও বলেছিলেন, মোহাম্মদ আকিল নামের এই ব্যক্তি আমাকে আমার অ্যাপার্টমেন্টের নীচে ডাকেন। আমি দেখলাম ওই ব্যক্তি বৃষ্টির কারণে সম্পূর্ণ ভিজে গেছেন। তবে আশ্চর্যের বিষয়টি হ'ল তিনি মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সাইকেলে করে এতটা দূরত্বে পৌঁছেছিলেন। (ছবি সৌজন্যে: রবিন মুকেশের ফেসবুক)
রবিন আরও বলেছে যে আমি যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম কীভাবে শেষ পর্যন্ত তিনি এত দ্রুত সাইকেলে কের অর্ডারটি পৌঁছে দিলেন, তখন তিনি বলেন একবছর ধরে সাইকেলে করেই অর্ডার পৌঁছে দিচ্ছেন। আমি তাঁর কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার প্রতি খুব মুগ্ধ হই। সেই সঙ্গেই তাঁকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিই। (প্রতীকী ছবি / Getty Images)
এরপরে রবিন মোহাম্মদ আকিলকে জিজ্ঞেস করে তাঁর এতটা ছবি তোলেন। রবিন আরও জানতে পারেন যে আকিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। রবিন জানান এর পরে তিনি আকিলের ছবি রেখে পুরো গল্পটি ফুড অ্যান্ড ট্র্যাভেল নামের এক ফেসবুক পেজে লেখেন। (প্রতীকী ছবি / Getty Images)
তিনি আরও বলেন যে এই পোস্টটি বেশ ভাইরাল হতে শুরু করে এবং বহু লোকের মেসেজ আসতে থাকে। অনেকে এও বলেন যে তাঁরা আকিলকে সাহায্য করতে চান। আকিলকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান যে একটি মোটরসাইকেল পেলে তাঁর পক্ষে সুবিধা হবে। (প্রতীকী ছবি / Getty Images)
আসলে, আকিলের বাবা চপ্পল তৈরিতে কাজ করেন। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে তাঁর কাজ থমকে গিয়েছে। এই কারণে, ২১ বছরের আকিলকে বাড়ির দায়িত্ব নিতে হয়েছে । আকেল বলেন যে আবহাওয়া যাই হোক না কেন, সে প্রতিদিন সাইকেলে প্রায় ৮০ কিলোমিটার যাত্রা করেন এবং দিনে ২০ টি অর্ডার সরবরাহ করেন। (প্রতীকী ছবি / Getty Images)
রবিন বলেন যে এর পরে তিনি আকিলের জন্য তহবিল সংগ্রহ শুরু করি। তিনি জানান, " আমি অবাক হয়ে দেখি যে আকিলের জন্য ৭৩ হাজার টাকা জোগাড় হয়ে গিয়েছে। আমেরিকাতে বসবাসকারী মহিলা একাই ৩০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন।" (প্রতীকী ছবি / Getty Images)
রবিন বলেছিলেল যে তাঁর পোস্টটি এত ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল যে এতে প্রচুর অনুদান এসেছিল। এরপর পেজটি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং একটি টিভিএস এক্সএল বাইক আকিলের জন্য কেনা হয়। এগুলি ছাড়াও করোনা কালের জন্য জরুরি মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং হেলমেটের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি সরবরাহ করা হয়েছিল। এ ছাড়া আকিলের কলেজের ফির জন্য বাকী ৫ হাজার টাকা রাখা হয়। (প্রতীকী ছবি / Getty Images)