Advertisement

'এক মহিলা আমার স্পার্ম চুরি করেছে', আজব অভিযোগ ব্যক্তির

তুরস্কের এক ব্যবসায়ীর অদ্ভুত অভিযোগ। পুলিশকে ফোন করে তিনি জানালেন তাঁর স্পার্ম চুরি হয়ে গিয়েছে। যা শুনে রীতিমতো হতবাক পুলিশ অধিকারিকরা। এক মহিলার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ এনেছেন সেই ব্যবসায়ী।

ছবিটি প্রতীকী ছবিটি প্রতীকী
Aajtak Bangla
  • তুরস্ক ,
  • 17 Jan 2022,
  • अपडेटेड 11:30 AM IST
  • তুরস্কের এক ব্যবসায়ীর অদ্ভুত অভিযোগ
  • পুলিশকে ফোন করে তিনি জানালেন তাঁর স্পার্ম চুরি হয়ে গিয়েছে
  • যা শুনে রীতিমতো হতবাক পুলিশ অধিকারিকরা

তুরস্কের এক ব্যবসায়ীর অদ্ভুত অভিযোগ। পুলিশকে ফোন করে তিনি জানালেন তাঁর স্পার্ম চুরি হয়ে গিয়েছে। যা শুনে রীতিমতো হতবাক পুলিশ অধিকারিকরা। এক মহিলার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ এনেছেন সেই ব্যবসায়ী। 

ঘটনার সূত্রপাত এক আজব চুক্তি ঘিরে। 'ডেইলি স্টার'-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী,  তুরস্কের এক নারী ও ব্যবসায়ীর মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী, সেবাতাপ সেন্সারি নামে এক মহিলা এবং এই ব্যবসায়ী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেবেন। এরপর তাঁরা বিয়ে করবেন। 

আরও পড়ুন

২০০০ সালে ৪৫ বছর বয়সী সেনসারি ওই ব্যবসায়ীর প্রেমে পড়েন। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই ব্যবসায়ীর কোনও পুত্র সন্তান নেই। সেই কারণে, তাঁরা উভয়েই সম্মত হন। ঠিক করেন তাঁরা সন্তান নেবেন। 

২০১৫ সালে ওই মহিলা ব্যবসায়ীর শুক্রাণু নিয়ে সাইপ্রাসে যান, কারণ তুরস্কের চিকিৎসা ব্যবস্থা অবিবাহিত দম্পতিদের ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনে সম্মতি দেয় না। এটা আইন বিরোধী। 

৯ মাস পর যমজ সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। পরবর্তীকালে, যখন তিনি ওই ব্যবসায়ীকে চুক্তির প্রতিশ্রুতি পালন করতে বলেন, তখন তিনি অস্বীকার করেন। শুধু তাই নয়, মা ও দুই ছেলের উপর ওই ব্যবসায়ী নির্যাতন করেন বলেও অভিযোগ। 

এবার মহিলা আদালতের দ্বারস্থা হন। তিনি ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। আদালতে ওই মহিলা বলেন, 'ওই ব্যবসায়ী গত ১৭ বছর ধরে আমাকে মারধর করেন এবং আমি কখনও কিছু বলিনি। কিন্তু সন্তানের জন্মের পর এখন আমি চাই না এরকম কিছু হোক।' 

ওই ব্যবসায়ী আদালতের সামনে ডিএনএ নমুনা দিতেও অস্বীকার করেন। জানাযন, যে তাঁর স্পার্ম চুরি হয়েছে। পুলিশ যেন বিষয়টি তদন্ত করে। 

Advertisement

মামলার শুনানিতে আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, যদি ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে দুই সন্তানের DNA ম্যচ করে তাহলে একথা পরিষ্কার যে, স্বেচ্ছায় স্পার্ম দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। যদিও মামলার শুনানি এখনও চলছে।  

Read more!
Advertisement
Advertisement