পৃথিবীতে কত রকম ঘটনাই ঘটে। তার কিছু কিছু জিনিস বিশ্বাস করা সম্ভব হয় না। এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে এক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মহিলা জন্মের আগের ঘটনার উপর মামলা দায়ের করে দেন। আর মামলা জিতেও যান। তিনি যাঁর উপর মামলা করেছিলেন, তিনি তাঁর মায়ের চিকিৎসক। তাঁর জন্মের আগে মায়ের চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন। ঘটনাটি কী, আসুন জেনে নিই।
কেন জন্মেছেন, প্রশ্ন ?
তাঁর মামলার বক্তব্য ছিল, তিনি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কেন জন্মেছেন। এর দায় সম্পূর্ণ চিকিৎসকের। তিনি জন্মের আগে মাকে কেন জানাননি তিনি সুস্থ নন। তাহলে তাঁর মা তাঁকে জন্ম না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। এমন আজব মামলা কেউ কখনও শোনেনি। তবু মামলা হয়েছে। আরও আশ্চর্যের মামলা জিতেও গিয়েছেন ওই কিশোরী।
ঘটনাটি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সবাই তাঁর কাছে জানতে চান, তিনি এমন কেন চাইছিলেন? ওই যুবতী এবি ট্রাম্বস জানিয়েছেন, ২০০১ সালে তাঁর জন্ম হয় লিপোমাইলোলেমিঙ্গোসেলে রোগ নিয়ে। এটি এক ধরণের বিকলাঙ্গতা, যা মেডিক্যাল সায়েন্সের ভাষায় স্পাইনা বিফিডার রূপে পরিচিত। তিনি এই রোগে ভুক্তভোগী হলেন কেন? এই অভিযোগ তুলে তিনি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করেন।
জন্ম রোধ করেননি কেন ?
তিনি বলেন, চিকিৎসক ফিলিপ মিশেল তাঁর মাকে সঠিক ওষুধের পরামর্শ দেননি। যদি তিনি ঠিকঠাক ওষুধ প্রয়োগ করতেন, তাহলে তিনি অন্য সাধারণ মানুষের মতোই জীবনযাপন করতে পারতেন। এ ছাড়া ওই চিকিৎসক জানতেন তিনি প্রতিবন্ধী হিসেবে জন্মাবেন। তাই তার জন্ম তিনি রোধ করতে পারতেন। কিন্তু করেননি। যার ফল তাঁকে ভোগ করতে হচ্ছে।