অতিমারীর কারণে আমরা প্রত্যেকে গৃহবন্দী। মারণ ভাইরাসের ফলে বাড়ি থেকে বেরনো প্রায় বন্ধ। এতখানি ফাঁকা সময় সচরাচর পাওয়া মুশকিল। আর পেয়েই যখন গিয়েছে তখন প্রত্যেকে নিজেদের মতো করে সময়টা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা, কুলিনারি স্কিল কিছুই প্রায় বাদ নেই। এই দলে সামিল ৮২ বছরের বৃদ্ধাও। তাঁর ফিটনেস প্রমাণ করে দেবে- বয়স কেবলমাত্র নম্বর।
গ্র্যানির ওয়ার্কআউট ভিডিয়ো ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। নিজের শর্তে জীবন উপভোগ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া ধন্য ধন্য করছে তাঁর ইচ্ছাশক্তির। প্রথমবার বৃদ্ধা ভাইরাল হন যখন তাঁর নাতি চিরাগ চরিদা শরীরচর্চার ভিডিয়ো পোস্ট করে। রীতিমতো ওয়েট তুলছেন তাও আবার শাড়ি পরে।
খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, চিরাগ তাঁর ঠাকুমার ওয়েট তোলা, স্কোয়াট করা, ডেডলিফটস, ল্যান্ড মাইন প্রেসের মতো বেশ কিছু শরীরচর্চার ভিডিয়ো পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। চিরাগ পেশায় একজন জিম ট্রেনার। তাঁর ঠাকুমা খুব হাসিখুশি মানুষ। বিয়ের পর থেকেই এসবের দিকে ঝোঁক তাঁর। বৃদ্ধ বয়সে বিছানা থেকে পড়ে পা ভেঙে যায় তাঁর, তারপর থেকে স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। এমনকী নীচে ঝুঁকে কিছু তুলতেও ভয় পেতেন তিনি।
আরও পড়ুন, ম্যাগির সঙ্গে দই! খাবারে ঘেঁটে গেলেন নেটিজেনরা! ছবি ভাইরাল
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে চিরাগ বলেন, নিজের প্রতিদিনের কাজ করার জন্যই ট্রেনিং নিতে শুরু করেন ঠাকুমা। সে আরও জানিয়েছে, যে সমস্ত ওয়ার্কআউট বৃদ্ধা করেন সবটাই তাঁর জন্য সুরক্ষিত।
বম্বে হিউম্যান্সের একটি সাম্প্রতিক পোস্টে, "৮২ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা কীভাবে নিয়মিত অনুশীলন করে জীবন বদলেছেন তা নিয়ে কথা বলে। তিনি বলেছিলেন, "আস্তে আস্তে আমরা বিছানা থেকে মেঝে এবং জলের বোতল থেকে ওয়েট তোলা সমস্তটা করেছি। আমার পায়ের ফোলাভাব কমে গেছে এবং আমি হাতে শক্তি ফিরে পেয়েছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জয়েন্টে ব্যথা এবং বিপি সমস্যাগুলিও কমে এসেছে।"
তিনি আরও বলেন, "আমি নিজেকে জীবিত বোধ করতে শুরু করি! আজকের নিজেকে অনেক কম বয়স্ক মনে হচ্ছে! কিছু মানুষ আজও মন করেন যেহেতু আমি ৮২, আমার ওজন তোলা উচিত নয়, তবে আমার মন তরুণ তাই না?"
সত্যিই তিনি ইন্সপিরেশন বটে!