মালদায় এবার সাধারণ আবিরের চেয়ে বাজার মাতাবে ভেষজ আবির। স্বাস্থ্য় সচেতন মানুষ ঝুঁকেছে ভেষজ আবিরের দিকে। আর যার ফলে রাত দিন এক করে ভেষজ আবির তৈরী করছে প্রস্তুতকারকেরা।
তৈরি করছে পুরাতন মালদার সাহাপুরের কালীতলায় প্রায় ৩৫ বছর ধরে আবিরের তৈরি করে আসছেন বিমল পাল। এই সময়কালে বেশ নামডাক হয়েছে তার।
করোনার পরপর দু'বছর সেই ব্যবসা শিকেয় উঠেছিল। তবে এইবার করোনা কিছুটা ঝিমিয়ে পড়তেই চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন তাঁরা। এ বছর চাহিদা প্রচুর, চাহিদা মতো যোগান দিতে পাচ্ছি না।
এখনও রাত দিন এক করে তার কারখানায় কাজ করে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। বিমল বাবু জানান ৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে তার এই ব্যবসা চলছে।করোনার সময় কাল থেকে ব্যবসা তেমন হয়নি। রং খেলার তেমন হয়নি। তবে এবারে বেচাকেনা কিছুটা ভালো।
হোলির আগে ১৫ দিন ধরে কাজ চলছে। তবে এবারে হারবাল আবিরের বিক্রি বেশি। পাঁচ থেকে ছয় কুন্টাল হারবাল আবির তৈরি করা হয়েছে। কিছু আবার ক্যালসিয়াম পাউডার এর বানানো হয় আবির।
রাসায়নিক ও বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি আবিরে চাহিদা কম তাই চাহিদামত ভেষজ আবির তৈরি হচ্ছে কারখানায়। এক ধরনের পাউডার সাথে বিভিন্ন রং মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে আবির রং জলে মিশিয়ে রাখা হয় তারপর সেই রং পরিমাণ মতো পাউডারের সাথে মেশানো হয় রঙের সাথে পাউডার ভালো মেশানোর পর সুগন্ধি দেওয়া হয়।
আবিরের বিভিন্ন রকমের সুগন্ধি ব্যবহার করা হচ্ছে। গত দুই বছর করোনার সময় লোকসানের মুখে পড়েছিল এই ব্যবসা। তবে এবার পরিস্থিতি তা প্রায় স্বাভাবিক বিক্রিবাট্টাও শুরু হয়ে গিয়েছে।