বক্সা টাইগার রিজার্ভের পর এবার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের লঙ্কাপাড়ায় রয়াল বেঙ্গল টাইগারের উপস্থিতি টের পেল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। বুধবার দুপুরে জঙ্গলে টহল দেবার সময় ভুটান পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের একটি প্রাণীর বেশ কয়েকটি পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের তিতি রেঞ্জের তিতি নদীর চড়ে এই পায়ের ছাপগুলো দেখতে পায়।
বনদপ্তরের অনুমান এত বড় পায়ের ছাপ রয়াল বেঙ্গল টাইগার ছাড়া অন্য কোন প্রাণীর হতে পারে না। কারণ সাধারণ লেপার্ডের পায়ের ছাপ কখনই এতটা বড় হতে পারে না বলে জানিয়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কর্তারা। যদিও বনদপ্তর এই বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার আগে পায়ের ছাপটি পরীক্ষা করার জন্য কলকাতায় পাঠিয়েছে।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও দীপক এম জানিয়েছেন যেখানে ওই পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে সেখান থেকে ভুটান পাহাড় মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে। তাই আমাদের অনুমান ভুটান পাহাড় থেকে পাহাড়, নদী, ও জঙ্গল পথ পেরিয়ে রয়াল বেঙ্গল টাইগার এখানে চলে আসতেই পারে।যদিও আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে এই বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।
অন্যদিকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের লঙ্কপাড়া সহ ভুটান পাহাড় লাগোয়া বেশ কিছু রিমোর্ট এবং গভীর জঙ্গল এলাকায় ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগিয়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের এডিএফও নবজিৎ দে বলেন যে পায়ের ছাপ গুলো তিতি নদীর চড়ে পাওয়া গিয়েছে সে গুলো লেপার্ডের পায়ের ছাপের থেকে অনেক বড়।
তাই আমরা কোন ঝুঁকি নিতে চাইছি না।বাঘের পায়ের ছাপ গুলো পরিক্ষা করতে কোলকাতায় পাঠানো হয়েছে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বিভিন্ন বনবস্তি বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
পরিবেশ প্রেমী তথা হিমালয়ান নেচার এন্ড এ্যডভেঞ্চারে ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু বলেন শেষবার ২০০৬ সালে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে বাঘের দেখা পাওয়া গিয়েছিল। ভুটান পাহাড়, জলদাপাড়া, বক্সা টাইগার রিজার্ভের জঙ্গলের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে। তাই ভুটান পাহাড় থেকে বক্সা হয়ে লঙ্কাপাড়ার মতো রিমোট এলাকায় রয়াল বেঙ্গল টাইগার আসতেই পারে।
তবে বনদপ্তরকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে বলে তাঁদের মত। উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণ শাখার মূখ্য বনপাল রাজেন্দ্র কুমার জাখর বলেন, এখনই ওই পায়ের ছাপ সংবাদ মাধ্যেমে প্রকাশ করা হচ্ছে না। আগে পরীক্ষা করে দেখা হবে। তারপর সেই ছবি সংবাদ মাধ্যেমে প্রকাশ করা হবে।