ভারী বর্ষায় বক্সার জঙ্গল পাহারায় জোঁক ও সাপের কামড় থেকে বাঁচতে বনকর্তার কাছে গামবুট, রেনকোট, ছাতা দাবি করলেন কয়েকশ বনকর্মী।
শুক্রবার দুপুরে এই দাবি জানিয়ে বক্সা টাইগার রিজার্ভের ওয়েস্ট ডিভিশনের অফিসে ধর্না দেন বনকর্মীরা। ধর্না শেষে তারা বক্সা টাইগার রিজার্ভের ওয়েস্ট ডিভিশনের ডিএফডির কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে বক্সার দুই রেঞ্জের কয়েকশ বনকর্মী।
এদিন পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন ফরেস্ট উইংয়ের তরফ থেকে বন কর্মীদের এই দাবি নিয়ে ধর্না দেন বনকর্মীরা। প্রাণ সংশয় করে ডিউটি করা দূর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি তাঁদের।
বক্সা টাইগার রিজার্ভে ইস্ট এবং ওয়েস্ট দুই ডিভিশন মিলিয়ে মোট ১৬ টি রেঞ্জের প্রায় সত্তরটি বিটে স্থায়ী ও অস্থায়ী নিয়ে ৮১৩ জন বনকর্মী রয়েছে।
বক্সা টাইগার রিজার্ভের ৭৬২ স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই বনকর্মীদের দিনে ২৪ ঘন্টাই বন পাহাড়ার কাজে নিযুক্ত থাকতে হয়।
বনকর্মীদের অভিযোগ ঝড়, জল,রোদ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ডিউটি করলেও জঙ্গল পাহারায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সেফটি কিট তাদের দেওয়া হয় না।
এর জেরে এই ভারী বর্ষণের মরশুমে বনকর্মীরা জঙ্গল পাহারায় জঙ্গলে ঢুকলে যে কোনও সময় বিষাক্ত সাপের ছোবলে তাদের প্রাণ সংশয় হতে পারে।
বক্সার জঙ্গলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে কিং কোবরা সাপ, সহ ভাইপার প্রজাতির একাধিক বিষধর সাপের আস্তানা। জঙ্গলের মধ্যেই রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির জোঁক।
সংগঠনের আলিপুরদুয়ার জেলার সম্পাদক দেবাশিস ঘোষ বলেন, আমাদের বছরে একবার মাত্র গামবুট, রেনকোট, ছাতা দেওয়া হয়। এতে জঙ্গল পাহারায় আমাদের সমস্যা হয় ৷ যে কোনও সময় আমাদের ওপর বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে।
দেবাশিসবাবু জানান অস্থায়ী কর্মীদের সেটাও দেওয়া হয় না। আমরা ঢাল তলোয়ারবিহীন নিধিরাম সর্দার। দেবাশিস ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন তিনি ডিএল বনকর্মীদের যে প্যাকেজ ভুক্ত করার কথা বলেছিলেন সে দাবি আমরা কর্তাদের জানিয়েছি। বক্সা টাইগার রিজার্ভের ফিল্ড ডাইরেক্টর বুদ্ধরাজ শেওয়া বলেন বনকর্মীদের দাবি আমরা দ্রুত পূরণ করব।