জিটিএ-র শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সহ বেশ কয়েকটি কর্মসূচি নিয়ে ৪ দিনের দলীয় কর্মসূচিতে শিলিগুড়ি হয়ে পাহাড়ে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চারদিনের সফরে সোমবার দার্জিলিং গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বেলা ২টো নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে তিনি সড়কপথে দার্জিলিং রওনা হয়ে যান।
চারদিনের এই সফরে মুখ্যমন্ত্রী গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) নতুন বোর্ডের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি নেপালি কবি ভানুভক্তের জন্মজয়ন্তী পালন অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকবেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ম্যালের চৌরাস্তায় জিটিএ-র নবনির্বাচিত ৪৫ জন সদস্যের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই অনুষ্ঠানে নব নির্বাচিত সসস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনার অজিতরঞ্জন বর্ধন।
এই অনুষ্ঠানে পাহাড়বাসীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য। মনে করা হচ্ছে অনিত থাপাই জিটিএ বোর্ডের চিফ এক্সিকিউটিভ হিসেবে শপথ নেবেন।
তবে বাকি পদগুলিতে কে কে শপথ নেবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। শোনা যাচ্ছে তৃণমূল ও নির্দলের কয়েকজন বোর্ডে আসতে পারেন জোটসঙ্গী হিসেবে। তাহলে পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন যুগের সূচনা হবে।
বুধবার কবি ভানুভক্তের জন্মদিন। ওই দিন দুপুর ২টোয় ম্যালের কবির মূর্তির পাদদেশে অনুষ্ঠান রয়েছে। সেই অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন মমতা।
১৪ জুলাই তাঁর শিলিগুড়ি হয়ে কলকাতায় ফেরার কথা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই সফরে রয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ইন্দ্রনীল সেন।
এদিন পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য হাজির ছিলেন শয়ে শয়ে মানুষ। তৃণমূল ছাড়াও জিটিএ-তে জয়ী বিজিপিএমের সমর্থকরা হাজির হয়েছিলেন পাহাড়ের রাস্তায়।
বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়েছিল তৃণমূল।
মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে পাহাড়ের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাহাড়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরও। পাহাড়ের আশা, এবারের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরে পাহাড়ের জন্য নতুন কিছু ঘোষণা করতেই চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।