একে হাতিতে রক্ষে নেই। দোসর আবার বানর। বানরের উপর গোঁসা করে বানরকুলকে সবক শেখালেন এক চাষি। বানরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে নিজের শখের ঝিঙ্গা ক্ষেত কেটে ফেললেন এক ব্যাক্তি।
ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন মাদারিহাটের মেঘনাদ সাহা নগরে। এই এলাকার স্থানীয় চাষিরা এখন রাতে হাতি এবং দিনে বানরের সাঁড়াশি আক্রমনে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।
দু মাস আগেই মেঘনাদ সাহা নগরের বাসিন্দা। প্রায় একবিঘা জমিতে ঝিঙ্গা চাষ করেন। ঝিঙ্গা ক্ষেতে ফলন শুরু হতেই লাগাতার বানরের হামলা শুরু ওই বাড়িতে। সকাল হতেই ওই ঝিঙ্গার ক্ষেতে শুরু হয়ে যায় বানরের হামলা। বানরের আক্রমন শুধু বাড়ির ঝিঙ্গা ক্ষেতেই সীমাবদ্ধ থাকছে না।বানরের দল বাড়ির রান্না ঘর থেকে শোবার ঘর সর্বত্রই অবাধ বিচরণ। বানরের আক্রমণে তছনছ গোটা বাড়ির আসবাব পত্র।
মেঘনাদ সাহা নগরে কেউ ভুট্টার চাষ করছেন, কারও আবার রয়েছে কলাবাগান। আবার কারও ক্ষেতে চাষ হয়েছে লাউ, চাল কুমড়ো। এই সমস্ত ফসলের লোভে রাতে হাতির হানা লাগাতার চলছে মেঘনাদ সাহা নগর এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়।
রাতে হাতির হামলা থেকে গ্রামের ফসল বাঁচাতে রাত জেগে গ্রামে হাতি তাঁড়াতে হয় গ্রামবাসীদের। নতুন করে বানরের অত্যাচার শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছে গোটা গ্রামের মানুষ।
মেঘনাদ সাহা কলোনির কমিটির কোষাধ্যক্ষ সুপেন দাস বলেন আমরা জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে বাঁদরের উপদ্রব কিভাবে আটকানো যায় তার ব্যাবস্থা করব।
গ্রামের মানুষ হাতির অত্যাচার এবং বাঁদরের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। মানুষ এত কষ্ট করে ফসল চাষ করে।সেই পরিশ্রমের ফসল এভাবে নষ্ট হতে দেখলে খারাপ লাগে।
আমরা চেষ্টা করবো বাঁদরের উৎপাত কমাতে, পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে। মাদারিহাটের মেঘনাদ সাহা নগরের বাসিন্দা প্রদীপ রায়, সুজিত দাস, রাখাল দাস জানান বানরের অত্যাচারে এলাকায় বেঁচে থাকা দায়।
এই বানরের দল সমস্ত ফল, সবজি খেয়ে নিচ্ছে। বন দপ্তরকে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে পরিশ্রমের ফসল জলে যাবে।
বন দফতরের তরফে বিষয়টি জানা সত্ত্বেও তাঁরা এই মুহূর্তে কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। কারণ বাঁদর ধরা তো চাট্টিখানি কথা নয়।
তা বলে বাঁদরকে শিক্ষা দিতে নিজের ফসল কাটা, এমন কাজ কেউ কখনও শোনেনি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।