গত কয়েকদিন থেকেই দার্জিলিং এবং সিকিমের উত্তর অংশে তুষারপাত শুরু হয়েছে। নীচের দিকে বিক্ষিপ্তভাবে চলছে ছিঁটেফাঁটা থেকে হালকা বৃষ্টি।
দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ এখনও প্রস্তুত নয়। যদিও তাই তাপমাত্রা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি থাকলেও বরফ পড়ছে না দার্জিলিং শহর এবং তার আশপাশে।
আগামী কয়েকদিনে তুষারপাত না হলেও পাহাড়ের নীচু অংশে ও সমতলের কয়েকটি জেলায় ঘন কুয়াশার দাপটও দেখা যাবে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন আবহাওয়াবিশেষজ্ঞরা।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝা দার্জিলিং, গ্যাংটক সহ তুলনামূলক নীচু পাহাড়ে তুষারপাতে বাধা দিচ্ছে। আগামী কয়েকদিনে ঝঞ্ঝা একটু দুর্বল হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তখন তুষারপাত হতেও পারে।
গত বছর ডিসেম্বরের শেষে ব্যাপক তুষারপাত হয়. দার্জিলিং, ঘুম, সোনাদা, জোড়বাংলো, টুং এলাকা সহ আপাতভাবে যেসব জায়গাগুলি তুষাররহিত এলাকা থাকে, সেখানেও। এবার এখনও পড়েনি। তবে পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন একটু তুষারপাতের আশায়।
রবিবার মরশুমের শীতলতম দিন ছিল দার্জিলিংয়ে। এ দিন তাপমাত্রা ছিল ১ ডিগ্রিরও কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ০.৮ ডিগ্রি। ফলে কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় ছিল জোলো কামড়।
কিন্তু তুষারপাত না হওয়ায় অনেকেই আক্ষেপে। অনেকে দার্জিলিং শহরে তুষারপাতের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। দার্জিলিংয়ে বরফ পড়লেই তাঁরা গিয়ে হাজির হন সেখানে।
সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তুষারপাত অর্থাৎ শূন্য ডিগ্রির অক্ষরেখা এখনও দার্জিলিং শহর থেকে কিছুটা উপরে। তাই সেটা না নামলে তুষারপাত হওয়া সম্ভব নয়। তবে ঠান্ডার দাপট অব্যাহত থাকবে।