করোনার কারনে বন্ধ স্কুল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফলে বিক্রি নেই ছোটো পতাকার। পাশাপাশি গত দুই বছরে বিক্রিও কমেছে।
অনেক তা সত্ত্বেও দেশের প্রতি ভালোবাসায় প্রায় ২৫ বছর ধরে পতাকা তৈরি করছেন সত্যরঞ্জন সাহা। শুধু তিনি একা নন তাঁর এই কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
মাঝে মাত্র একটা দিন। তারপরই গোটা দেশে পালন হবে স্বাধীনতা দিবস। এ বছর ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। আসন্ন স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে চারদিকে একটা সাজ সাজ রব।
তেরঙ্গা পতাকায় সেজে উঠেছে বিভিন্ন দোকান, বাজার। এই দিনটি ঘিরে যেন উৎসবের পরিবেশ। তবে স্বাধীনতা দিবসের আগে দেশবাসীকে তেরঙ্গা পতাকা তুলে দিতে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে জাতীয় পতাকা তৈরি করে চলছেন তাঁরা।
শিলিগুড়ি সংলগ্ন ডাবগ্রাম-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পুর্ব চয়নপাড়ার বাসিন্দা সত্যরঞ্জন সাহা। শুধু তিনি একা নন গোটা পরিবার তাকে এই কাজে সহযোগিতা করছেন। উদ্দেশ্য একটাই, কিছু টাকা ঘরে তোলা।
প্রতি বছর তিনি ৩০ থেকে ৪০ হাজার জাতীয় পতাকা তৈরি করেন বিভিন্ন সাইজের। তবে গত দুবছর থেকে করোনার কারণে কমেছে পতাকা তৈরির সংখ্যাও।
সেই সাথে কমেছে লাভের সংখ্যা। লাভ নেই জেনেও শুধুমাত্র দেশপ্রেমের ভাবনায় বিগত প্রায় ২৫ বছর ধরে জাতীয় পতাকা বানিয়ে চলেছেন সাহা পরিবার।
চলতি বছর বড় সাইজের পতাকা তৈরি করলেও ছোটো পাতাগুলির চাহিদা কম বলে জানান সত্যরঞ্জনবাবু। জানিয়েছেন করোনার আগে প্রায় ৩০ হাজার পতাকা তৈরি করা হয়েছে।
গত বছর ১২ হাজারের মতো তৈরি করা হয়েছিল। এ বছর ১৫ হাজার বানানো হচ্ছে। গত বছরের চাইতে এ বছর চাহিদা সামান্য একটু বেশি।
এদিন তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবসের ২-৩ মাস আগে থেকেই পতাকা তৈরি শুরু হয়ে যায়। তবে গত দু বছর থেকে স্কুল বন্ধ থাকায় ছোটো পতাকা কম বিক্রি হচ্ছে ।
তিনি আরও বলেন জাতীয় পতাকা বানিয়ে খাটুনি অনুপাতে লাভ হয় না বললেই চলে। তবে জাতীয় পতাকা বানাতে পেরে যে গর্ব ও আনন্দ অনুভব করি তার জন্যই পতাকা তৈরি করি।
অন্যদিকে সত্যরঞ্জন সাহার ছেলে সৌরভ সাহা বলেন, স্কুলের এবং পড়াশোনার ফাঁকে বাবার সাথে পতাকা বানানোর কাজে সহযোগিতা করতে পেরে গর্ববোধ হয়।
তাই নেশার মতো পতাকা তৈরি করে চলেন তাঁরা। লাভ-ক্ষতির হিসেব না করেই কাজ চালিয়ে যাবেন, যতদিন পারবেন। কারণ পতাকা তৈরির মধ্য়ে দিয়ে নিজেদের মনের পতাকা উড্ডীন রাখতে চান।