১০০ বছর আগের পুরোনো রূপ ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঐতিহাসিক বক্সা দুর্গের। সংষ্কারের কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। প্রথম ধাপের কাজ শেষ। দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হবে।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৭০০ ফুট উঁচুতে রয়েছে এই ফোর্ট। এটি রাজ্যের অন্যতম সেরা ঐতিহাসিক জায়গা। দূর্গের পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে অনেক ইতিহাস। ভুটান রাজা থেকে ব্রিটিশ শাসনে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আটকে রাখা সহ বহু রক্ত-ঘামের স্মৃতি গাঁথা দূর্গের দেওয়ালে।
১৮৬৫ সালে এই ফোর্ট ব্রিটিশদের দখলে এসেছিল। এমন ইতিহাস জড়িয়ে থাকা ওই জায়গাকে আবার যতটা পারা যায় পুরোনো রূপে ফেরানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন। এজন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও।
ফোর্টটি সংষ্কারের কাজ করছে রাজ্য পূর্ত দফতর। দফতরের তরফে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, সংস্কারের কাজ শেষ হলে ফোর্টের কিছু এলাকা আগের অবস্থায় ফেরানো এবং সীমানা প্রাচীর দেওয়া হবে। তখন আগের চেহারা ফিরে পাবে ঐতিহাসিক এই সৌধটি।
ফোর্ট সংস্কারের জন্য প্রথম ধাপে প্রায় তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই টাকা দিয়ে ফোর্টের প্রথম দিকের অফিস, বন্দি শিবির, সৈনা ব্যারাক সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়াও পুরোনো তিনটি রাস্তা ও নিকাশি ব্যবস্থাও আগের রূপে ফেরানো গিয়েছে।
২০২২ সালের জুন মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংস্কারের কাজের সূচনা করেন। সংস্কারের কাজের পাশাপাশি ফোর্টের সামনে একটি ঘরও তৈরি করা হচ্ছে।যেখান থেকে পর্যটকরা বিভিন্ন তথ্য পাবেন এবং তৈরি হবে শৌচাগারও।
এখন ফোর্টের মাত্র ২ বর্গকিলোমিটার এলাকা সীমানা পর্যটকরা ঘুরে দেখতে পারেন। তবে আদতে বক্সা ফোর্টের সীমানা আরও অনেক বেশি বড়।
ফোর্টের একটা বড় অংশ জঙ্গলের ভিতরে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বক্সা ফোর্টের কিছু সীমানা জঙ্গলের মধ্যে থেকে চিহ্নিত করে ফেন্সিং দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই অংশটুকু পর্যটকদের ঘোরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।