পর্যটন শুধু ব্যবসা নয়। একটা শিল্প। তা প্রতিনিয়ত প্রমাণ করে চলেছেন কিছু মানুষ। অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড টুরিজম (অ্যাকট) তার মধ্যে অন্য়তম।
তাঁরা পর্যটকদের সঙ্গে পর্যটন ব্যবসায়ী বা যাঁরা অতিথিবরণ করবেন তাঁদের সার্বিক সম্পর্ক এবং ধরণ কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে একটি দীর্ঘ কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ অংশের জেলাগুলির মধ্যে নতুনগ্রাম, বেলুন, গোরভাঙ্গা, মালদি, চরিদা, নয়া পিংলা, রোহিণী এবং বাঘমুন্ডি জুড়ে একটি গ্রামীণ পর্যটন ও হোমস্টে আতিথেয়তার সংবেদনশীলতা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রশিক্ষণ মডেলটি ছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের প্রতিষ্ঠিত মডেল ও উদাহরণের উপর ভিত্তি করে।
এই মডেলটি উত্তরবঙ্গে, গত ২ দশক ধরে এটি অনুসরণ করে আসছেন অ্যাকটের সদস্যরা। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় এই মডেল অনুসরণ করে সাফল্য় এসেছে।
দুই সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু ছিল নতুনগ্রামের কাঠের পুতুল তৈরির গ্রাম, গোরভাঙ্গার বাউল-ফকির আখড়া গ্রাম, মালদির ছৌনৃত্য গ্রাম এবং নয়া পিংলার পটচিত্র গ্রাম।
এই গ্রামগুলি নৈপুণ্য ও সংস্কৃতির জন্য বাংলা নাটক ডটকমের উদ্যোগ নিয়েছে। এই শিল্পীরা র আগে শিলিগুড়িতে অ্যাকট দ্বারা আয়োজিত উৎসব, গীতাঞ্জলি আম উৎসব এবং বিশ্ব পর্যটন দিবস উৎসবে নিজেদের কৌশল প্রদর্শন করে গিয়েছেন।
প্রায় ২ সপ্তাহ ব্যাপী এই পুরো কর্মসূচিকে ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক সরাসরি সহায়তা করেছে এবং তাদের কলকাতা আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে সমস্ত রকম সহযোগিতা করেছে।
প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন আইআইএএস এর ডিরেক্টর ডাঃ অংশুমান চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা থেকে জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত পর্যটক গাইড শমীক রায়, ইন্ডিয়া ট্যুরিজম কলকাতা থেকে সায়ক নন্দী এবং অ্যাকটের তরফে রাজ বসু।
এই ব্যবস্থাপনার প্রধান প্রশিক্ষণ ছিল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, পরিষেবা প্রদানকারী, সুদৃঢ় নেতৃত্ব প্রদান সম্পর্কে। যা সাফল্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ হয়েছে বলে দাবি আয়োজকদের।
এই মুহূর্তে করোনা অতিমারির সময়ে পর্যটন খানিকটা থমকে রয়েছে। ফলে তার মধ্যে নতুন করে কোনও কাজ করতে পারা যাচ্ছে না। পর্যটকের ঢলও অনেকটাই কম গত দেড়-দু বছরে।
ফলে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের এক্সিলেন্সিকে আরও খানিকটা বাড়িয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ করা হচ্ছে। যা পরবর্তীতে কাজে লাগবে।