শিলিগুড়িতে পালিত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০ তম জন্ম জয়ন্তী। করোনা আবহের মধ্য়েও কোভিড বিধি মেনে এদিন শিলিগুড়িতে সরকারি, বেসরকারি স্তরে বিভিন্ন জায়গায় রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করা হয়।
একইভাবে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি বাঘাযতীন পার্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ প্রদান করে কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিলিগুড়ি পৌরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব।
একই সাথে কবি গুরুকে পুষ্পার্ঘ দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ। এরপর একে একে উপস্থিত সকলে কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রসঙ্গত প্রতিবছরই পৌরনিগমের পক্ষ থেকে দিনটিকে জাঁকজমকভাবে উদযাপন করা হলেও গত বছর করোনার দাপটে সামান্য ভাবে উদযাপন হয়েছিল। একইভাবে এ বছরও শুধুমাত্র কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এবং কবি গুরু স্মরণে দু একটি গানে অনাড়ম্বরভাবে কবিগুরুকে স্মরণ করা হয়। এদিন অনুষ্ঠানে গৌতম দেব বলেন, করোনাভাইরাসের এই কঠিন পরিস্থিতিতে এবছর একেবারে অনাড়ম্বর ভাবে কবিগুরুর স্মরণে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এই পরিস্থিতি কেটে গেলে কবিগুরুকে নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
পরে শক্তিগড়ে রবীন্দ্রমঞ্চেও বিশ্বকবিকে স্মরণ করে সাদামাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন গৌতমবাবু।
শুধু উপস্থিত থাকাই নয়, উপস্থিত সকলের সামনে রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে কবি প্রণাম সারেন তিনি। এর আগে তিনি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি অ্যালবামেও কাজ করেছেন। তাঁর গানে এবং সৌমিত্রবাবুর ভাষ্যপাঠে অ্যালবামটি সফল হয়েছিল। তাই এদিনের গানে অবাক হননি কেউই।
রবীন্দ্র মঞ্চে নির্বাচিত কিছু শিল্পী ও দর্শক নিয়ে কোভিড বিধি মেনে ছোট্ট একটি অনুষ্ঠান করা হয়।