পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগম (WBFDCL) তাদের পরিচালনাধীন বাংলো এবং রিসর্টগুলিকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে। এই পর্যটন আবাসগুলি থ্রি স্টার ক্যাটাগরিতে উন্নত করতে চলেছে রাজ্য সরকার। কয়েকটি বাংলো এবং রিসর্ট অত্যন্ত অত্যাধুনিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সংস্কারের কাজ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ডুয়ার্স সহ উত্তর এবং অন্যান্য জঙ্গল এলাকা বন্যপ্রাণীদের প্রজননের জন্য বন্ধ থাকে। পর্যটকদের আনাগোনা তুলনামূলক কম থাকে।
এই কারণেই সংস্কারের জন্য এই সময়টিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। আগামী পুজো এবং শীতের মরশুমে পর্যটকরা যাতে আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ ও সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারেন, সেদিকে নজর রেখেছেন বন উন্নয়ন নিগমের উদ্যোক্তারা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন পর্যটকরা যাতে নিগমের বাংলা এবং রিসর্ট আরও বেশি করে ব্যবহার করেন সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নিগম। বেসরকারি তুলনায় ফরেস্ট ডেভেলপমেন্টের বাংলো যাতে বেশি পছন্দ করেন সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বেসরকারি রিসর্ট-কটেজের চেয়ে সস্তায় এই রিসর্টগুলি সরকার দেবে। সেই কারণে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। অনলাইনে ঘর বুকিং এখন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।
রাজ্যের ১৭৭ টি বাংলো এবং রিসর্ট রয়েছে। প্রতিটিকে অত্যাধুনিক সজ্জা সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। থ্রিস্টার ফেসিলিটির মতো সুবিধা দেওয়া হবে।
খাবারের পদে বৈচিত্র আনার কথা ভাবা হয়েছে। থ্রিস্টারে যেমন খাওয়াদাওয়া মেলে অন্তত কিছু এখানে যাতে মেলে তার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
এখানে বুকিং করে যাতে আশপাশের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা সম্ভব হয়, তার জন্য সার্কিট টুরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দপ্তরের আধিকারিকরা। ফলে পর্যটকরা আলাদা করে গাড়িটির জন্য ভাবতে হবে না।
নিগমেরা কর্তারা জানিয়েছেন, গত দু বছরে করোনার কারণে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই কারণে পর্যটনকে আরও বেশি করে আকর্ষণীয় করে তুলতে চাওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই উদ্যোগী হয়ে পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে চাইছেন। সেই কারণে সমস্ত বাংলোগুলিকে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।