বাঘের বিষ্ঠাই বাঘের উপস্থিতির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে বক্সার বনকর্তাদের। প্রথম দফার গণনা শেষে বক্সার জঙ্গলে বাঘের দেখা না মেলায় হতাশ বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ।
তবে বক্সা টাইগার রিজার্ভের আশা জিইয়ে রেখেছে গণনার সময় সংগৃহীত বাঘের বিষ্ঠা,পায়ের ছাপ ও ট্র্যাপ ক্যামেরা ছবি। যদিও সেই সব কিছুর বিস্তারিত রিপোর্ট পেতে অন্ততপক্ষে এক বছরের প্রতীক্ষা করতে হবে বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষকে।
বক্সা টাইগার রিজার্ভের এফডি বুদ্ধরাজ শেওয়া বলেন গণনায় বাঘের দেখা না পাওয়া গেলেও গণনার সময় বক্সার জঙ্গলে বাঘের উপস্থিতির বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ পেয়েছে বনকর্মীরা। এছাড়াও জঙ্গলের কোর এলাকায় পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরায় বাঘের ছবি পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী।
ন্যাশনাল টাইগার রিজার্ভ কনজারভেশন অথরিটি(এনটিসিএ) এর গাইড লাইন মেনে ছয় দিনের বাঘ গণনা শুরু হয়।বক্সার ৭৬০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই বাঘ গণনা কাজ করে ৮০ টি দলের প্রায় ৪০০ জন বনকর্মী।
বক্সা জঙ্গলকে ব্লক-১ ব্লক-২ দুইটি ভাগে ভাগ করে ট্র্যাপ ক্যামেরার মাধ্যমে এই গণনার কাজ করা করা হয়। গত ২৫ শে ডিসেম্বর ব্লক-১ এ ২০০ টি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়। এই ট্র্যাপ ক্যামেরা গুলো একমাস রাখা হবে ওই একই স্থানে।পরের একমাস সেই ক্যামেরা গুলো সরিয়ে আনা হবে ব্লক ২ তে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ডিসেম্বর বক্সার জঙ্গলে একটি রয়াল বেঙ্গল টাইগারের ছবি ক্যামেরা বন্দী হয়। সেই থেকে বক্সা টাইগার রিজার্ভ সহ রাজ্যের বনদপ্তরের কর্তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
তবে বক্সার জঙ্গলে বাঘ গণনায় সরাসরি বাঘের দেখা না মেলায় যথেষ্টই হতাশ বক্সার বনকর্তারা। যদিও বক্সার জঙ্গলে বাঘ গণনায় বেশ কয়েকটি এলাকায় বাঘের বিষ্ঠা, এবং পায়ের ছাপ সংগ্রহ করেছে গণনার কাজে নিযুক্ত বন কর্মীরা।
এই পায়ের ছাপ এবং বাঘের বিষ্ঠাই সম্বল। বাঘ দেখতে না পেলেও বাঘের উপস্থিতির আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বক্সার বন কর্তাদের। তাঁদের দাবি, বাঘ না থাকলে এগুলি আসলো কোথা থেকে। তবে সংখ্যায় কম এটা তাঁরা স্বীকার করেছেন।