২৬ সেপ্টেম্বর থেকেই লাইন সারিয়ে চালু হয়ে গিয়েছে টয়ট্রেন। শিলিগুড়ি থেকে পূর্ণাঙ্গ রুটে ছুটছে খেলনা ট্রেন। ফলে পাহাড় ভ্রমণ যেন পূর্ণতা পেয়েছে। দ্বিতীয়াতে তাই হাউসফুল টয়ট্রেন। কোনও যাত্রাই খালি যাচ্ছে না। উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে টয়ট্রেনের যাত্রার সঙ্গেই।
এখন টয়ট্রেনের সঙ্গে জুড়েছে রেস্তোরাঁ। এখন থেকে টয়ট্রেনেই মিলবে পছন্দসই ব্রেকফাস্ট। পাহাড়ের পাকদণ্ডি বেয়ে উঠে যাওয়া টয়ট্রেনে বসেই দার্জিলিং চা (Darjeeling Tea) কিংবা কফি, সঙ্গে স্ন্যাকস পাবেন। ফলে বাড়তি খুশির খবর পর্যটকদের জন্য।
ধস নেমে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়েছিল শিলিগুড়ি-দার্জিলিং রুটে টয়ট্রেন পরিষেবা। চালু ছিল শুধু দার্জিলিং-কার্শিয়াং জয়রাইড। কিন্তু তাতে মন ভরছিল না পর্যটকদের। কারণ মূল রোমাঞ্চ শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াংয়ের মধ্যেই। ফলে চাহিদা ছিল পুরো রুটে ট্রেন চালানোর।
অবশেষে ২৪ দিন বন্ধ থাকার পর শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং রুটে ট্রেন চালু হওয়ায় খুশি রেলকর্তারা। খুশি পর্যটন সার্কিটও। আর পর্যটকদের জন্য বাড়তি খুশির আমেজ এনে দিতে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (DHR) ট্রেনে জুড়ে দিয়েছেন ভিস্তাডোম কোচ আর রেস্তোরাঁ কোচ। ফলে সোনায় সোহাগা।
ভিস্তাডোম কোচ হওয়ায় এবার ট্রেনে বসেই চারিদিকে আরও বেশি করে পাহাড়ি সৌন্দর্য দৃশ্যমান হবে ট্রেন থেকেই। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার অংশুল গুপ্তা জানিয়েছেন, ভিস্তাডোম কোচে ১৫ টি আসন ও এসি কোচে ৮ টি আসন থাকবে।
সারা বছরই টয়ট্রেনের চাহিদা থাকলেও পুজোর মরশুমে পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় বরাবরই একটু বেশি থাকে। ৭-৮ ঘন্টার লম্বা সফরে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে রংটং, গয়াবাড়ি, তিনধারিয়া, কার্শিয়াং, টুং, সোনাদা, ঘুম পেরিয়ে দার্জিলিংয়ের প্রান্তিক স্টেশনে পৌঁছয় ট্রেন।যার সৌন্দর্য লাইফটাইম মেমোরি হয়ে থাকে।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, সপ্তাহে তিনদিন চলবে এই ট্রেন। এনজেপি থেকে চলবে সোমবার, বুধবার এবং শনিবার। আর দার্জিলিং থেকে রওনা হবে মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং রবিবার।
শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার ভিস্তাডোম কোচের ভাড়া রাখা হয়েছে যাত্রী পিছু ১৫০০ টাকা। রেস্তোরাঁ কোচের ভাড়া ১৩০০ টাকা।সেপ্টেম্বর মাসের ৩ তারিখ ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের রংটং ও তিনধারিয়া স্টেশনের মাঝে ১৭ মাইলে ধস পড়ে টানা ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে ফের চালু হল টয়ট্রেন পরিষেবা। কালীপুজো পর্যন্ত ট্রেন কিন্তু হাউসফুল।