রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের সুরেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র দ্রুত রাজ্যের পুরসভার নির্বাচন করানোর দাবি তুললেন রাজ্য সরকারের কাছে।
রাজ্যের আসন্ন পৌরসভার নির্বাচনে প্রত্যেক জেলা বামফ্রন্টকে জোটের বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে এদিন জানিয়েছেন রাজ্য সিপিএমের সম্পাদক।
তিনি বলেন, জেলা বামফ্রন্ট ঠিক করবে কার সাথে কোন জেলায় জোট করলে ভালো ফল করা যাবে।তবে সমস্ত জেলা বামফ্রন্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জোটের বিষয়ে একটি ওয়ার্ডেও বিজেপি বা তৃণমূলের সাথে জোট করা যাবে না।
প্রত্যেক জেলায় বামফ্রন্ট নেতৃত্ব নিজেদের মতো করে রাজনৈতিকভাবে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরোধী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে পৌরসভা নির্বাচনে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করবে। শনিবার আলিপুরদুয়ার এসে একথা জানালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের প্রায় ১৩৪টি পুরসভার নির্বাচন স্থগিত। সমস্ত পুরসভাই বর্তমানে প্রশাসক দিয়ে চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিরোধী দলগুলো অবিলম্বে পুরসভা নির্বাচন করানোর দাবি তুলেছে রাজ্য সরকারের কাছে।
মাত্র দশ দিন আগেই আলিপুরদুয়ারে এসে রাজ্যে সরকারকে অবিলম্বে পুরসভা নির্বাচন করানোর দাবি তুলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির সুরেই সুর মিলিয়ে এদিন সূর্যকান্ত মিশ্র পুরসভা নির্বাচন করানোর দাবিতে সোচ্চার হন। এদিন সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, বিধান পরিষদ গঠন করতে উঠে পড়ে লেগেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে তার কোনও হেলদোল নেই।
শনিবার আলিপুরদুয়ার জেলা সিপিএমের কার্যালয়ে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন পেট্রোপণ্যের মুল্যবৃদ্ধিতে তৃণমুলের প্রতিবাদ চলছে রাজ্যজুড়ে। কিন্তু পেট্রোপণ্যের মুল্যবৃদ্ধিতে সেস ছাড় রাজ্যের হাতে রয়েছে। তা করছে না সরকার। সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন রাজ্য সরকার পেট্রোলের উপর সেস ছাড় দিলেই পেট্রোলের দাম অনেকটা কমে যাবে।
এদিন সূর্যকান্ত মিশ্র সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে, বিজেপিকে রাজ্যের মানুষ চায় না। কোনও বিকল্প না পেয়ে মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্যের সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ,গণতান্ত্রিক শক্তি একত্রিত হয়ে একটি বিকল্প শক্তি গড়ে তুলতে হবে। সেই শক্তিকে মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
গত বিধানসভায় আমাদের যে জোট হয়েছিলো তা ঠিক মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়নি। যদিও সিপিএম একক ভাবে ১৩৮ টি আসনে লড়াই করে ৯৪ টি আসনে ভোট শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। যদিও এতে আত্মসন্তুষ্ট হওয়া কোনও কারণ নেই। বিজেপি বা তৃণমূল মানুষের সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। আগামী দিনে মানুষের কাছে একমাত্র বিকল্প পথ হবে শক্তিশালী বামফ্রন্ট।