Kolkata To Ghazoldoba Cheap Teavel: কলকাতা থেকে ট্রেনে বা বিমানে নেমে যদি উত্তরের সেরা পর্যটনকেন্দ্র গজলডোবায় যেতে চান, তাহলে এবার সরকারি উদ্যোগে পৌঁছে যেতে পারবেন। পুজোর বুকিং করে থাকলে এবার পুজোর সময়ই এই সুযোগ মিলবে। সৌজন্যে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনও চাইছে গজলডোবা পর্যন্ত পর্যটকরা পৌঁছন নির্ঝঞ্ঝাটে।
আরও পডু়নঃ ৪০ ডিগ্রি তাপে পুড়ছেন, ৫ ডিগ্রি চলছে কাছেই ৪ জায়গায়, খরচও কম, রইল হদিশ
পুজোর আগেই মিলবে পরিষেবা
বর্ষা বিদায় নিলেই গজলডোবা ঘিরে জেলা প্রশাসন ও শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (SJDA) সরকারি বাস পরিষেবা চালু করতে চলেছে। এসজেডিএ-তে দুটি টুরিস্ট বাস চালাবে। অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গজলডোবাকে কেন্দ্র করে তিনটি রুটে সরকারি বাস চালানো হবে। পরবর্তীতে এনবিএসটিসির মাধ্যমেও বাস চালাতে পারে এসজেডিএ।
ভাড়া কত হবে?
ভাড়া রাখা হচ্ছে সাধ্যের মধ্যেই। সাধারণ টুরিস্ট বাসের চেয়ে কম খরচে, লাক্সারি সুবিধা দিয়ে গজলডোবার ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে। সঙ্গে মিলবে ব্রেকফাস্টও। ফলে ট্রেন বা বিমান থেকে নেমে বাইরে বেশি খরচ করে খাওয়ার দরকার নেই। ভাড়ার সঙ্গেই খাবারের মূল্য ধরে নেওয়া হবে। তবে বাস চালু হলে ভাড়ার মূল্য জানিয়ে দেওয়া হবে।
সাজানো হচ্ছে আরও সুন্দর করে
গজলডোবা ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রকে ধাপে ধাপে সাজানো হচ্ছে সরকারি উদ্যোগে। প্রতিদিন অন্য জেলা এবং রাজ্যের বাইরে থেকে বেড়াতে আসেন। এখানকার পাখি বিতান, অভয়ারণ্য, তিস্তা বাঁধ প্রকল্প , এলাকা দেখতে জলাশয় নৌকা বিহার করতে বহু মানুষ আসেন। রাতে না থেকেও এখানে ডেলি টুরিস্ট আসেন অনেক আগে থেকেই। গজলডোবায় নাদিয়ালি মাছ কিনতে দুপুরের পর থেকে ভিড় বাড়তে থাকে।
কোথায় কোথায় বাস চলবে?
জেলা পরিবহণ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাজ্য নগরের উন্নয়ন দপ্তর এবং গজলডোবা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব অনুসারে সরকারি বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এসজেডিএ এবং এনবিএসটিসির তরফে বাস চালানো হতে পারে। এছাড়া শিলিগুড়ির কাছে নৌকাঘাট থেকে গজলডোবা পর্যন্ত চারটি নতুন ম্যাক্সিক্যাব চালানোর পারমিটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসজেডিএ চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী জানান, এনবিএসটিসির সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা দুটি সরকারি বাস ভাড়া নিয়ে শিলিগুড়ি থেকে গজলডোবা যাব।
প্যাকেজ টুর ও অন্য় অ্যামিউজমেন্ট
গজলডোবা থেকে একাধিক টুরিস্ট বাস হিসেবে চালানো হবে। বর্ষা পেরোলে পুজাকে সামনে রেখে শীতের পুরো মরশুম পর্যন্ত বাস দুটি চালানো হবে। পর্যটকদের জন্য প্যাকেজে থাকবে ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চের সুবিধা। প্রয়োজনে সকাল সকাল শিলিগুড়ি থেকে গজলডোবা ঘুরিয়ে লাটাগুড়ি দিয়ে ভ্রমণ করিয়ে শিলিগুড়ি বা অন্য গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে। গজলডোবা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফেই রিক্সা, সাইক্লিং, তাঁবুতে রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি বাস চালানোর প্রস্তাব তারাও জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন। বাস চলাচল নিয়মিত শুরু হলে যাতায়াতের খরচ কমবে। তাহলে আরও অনেক বেশি মানুষ গজলডোবা বেড়াতে আসবেন।