আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোট। তাকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে মিম। বিশেষ করে সংখ্যালঘু এলাকাগুলিতে তাঁরা তৃণমূলের সংগঠনে ভাঙত ধরাতে কাজ করবে বলে মনে করছে ঘাসফুল শিবিরেরই একাংশ। যদিও তৃণমূলের তরফে তাঁদের জন্য শুভেচ্ছা বার্তা দিলেও আদতেই তাঁরা কোনও ফ্যাক্টর নয় বলে মনে করছেন তৃণমূলের সংখ্য়ালঘু সেলের উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক তথা তৃণমূলের রাজ্য কার্যকরী সভাপতি অধ্যাপক নাসির আহমেদ।
সংগঠন বাড়াতে নির্দেশ কর্মীদের
উত্তরবঙ্গে মিম-এর সংগঠন তেমন মজবুত নয়। তাই সংগঠনকে আরও আঁটসাঁট করতে এবার উত্তরবঙ্গে জোর নজর আসাদুদ্দিন ওয়াইসির দলের। দীর্ঘদিন পর রবিবার মালদার সামসিতে মিমের উত্তরবঙ্গ জোনের সাংগঠনিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৃণমূল স্তর থেকে আন্দোলনকে জোরালো করার বার্তা দিয়ে সাংগঠনিক কাজ এগিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হল উত্তরবঙ্গ জোনের সাংগঠনিক নেতাদের।
সরকারি প্রকল্পের ব্যর্থতা তুলে ধরতে জোর
দলের উত্তরবঙ্গ জোনের পর্যবেক্ষক সরফরাজ সিদ্দিকি দলের যুব সংগঠনের কাছে আহ্বান জানান, পঞ্চায়েতে বঞ্চিত অধিকার ফিরিয়ে আনতে মানুষের জোট গড়ে তুলতে তাদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা ঠিকমতো মানুষের কাছে না পৌঁছোনো, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতি এবং গ্রামে গ্রামে শাসকদলের নেতৃত্বের ফুলে-ফেঁপে ওঠাগুলিকে চিহ্নিত করে এলাকাভিত্তিক আন্দোলনে জোর দিতে বলেন।
আরও পড়ুনঃ জাদু কি ঝাপ্পি! Hug করেই মোটা টাকা নেন এই ব্যক্তি, মেয়েদের লম্বা লাইন
প্রার্থী বাছাইয়ে ভাল মুখ
উত্তরবঙ্গ জোনের সভাপতি মৌলানা মতিউর রহমানও পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য নিজেদের ঘর গোছানোর কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন। বুথ কমিটি গড়ার কাজ, কে কোথায় সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন, তার ঝাড়াই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বলে জানান। এদিন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গের প্রথম সারির সব নেতারাই।
মিম কোনও ফ্যাক্টর নয়, দাবি তৃণমূলের
অন্যদিতে বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই বলে জানান তৃণমূলের সংখ্য়ালঘু সেলের উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক তথা তৃণমূলের রাজ্য কার্যকরী সভাপতি অধ্যাপক নাসির আহমেদ। তিনি বলেন, "গণতান্ত্রিকভাবে মিম যদি নির্বাচনে লড়ে তাতে কারও কোনও আপত্তি থাকতে পারে না। তাদের শুভেচ্ছা জানাই। তবে তৃণমূলের তাতে কোনও ক্ষতি হবে না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য তৃণমূল কাজ করে চলেছে, মানুষ তৃণমূলের পাশেই থাকবে।"