Darjeeling Politics: কয়েকদিন আগেই হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড, ফেসবুক লাইভে এসে তাঁর দলের নেতাদের সঙ্গে অনিত থাপার বিজিপিএম যোগাযোগ করে দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। এমনকী বিষয়টি দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও দল ভাঙার খেলা বন্ধের আর্জি জানিয়েছিলেন। তাতেও কাজ হয়নি। শনিবার অনিতের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় (বিজিপিএম) যোগ দিলেন দার্জিলিং ঘুম-জোড়বাংলো কেন্দ্রের জিটিএ সদস্য প্রোমসকর ব্লোন এবং পুলবাজার-বিজনবাড়ি কেন্দ্রের জিটিএ সদস্য ভূপেন্দ্র ছেত্রী। অন্য়দিকে রবিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন মিরিক পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা এমকে জিম্বা। ফলে পাহাড়ে ফের দল ভাঙানোর খেলা শুরু হয়ে গেল।
আরও পড়ুনঃ সস্তায় কলকাতা থেকে ডুয়ার্সের বাড়তি বাস চালাচ্ছে NBSTC, কীভাবে বুকিং ?
কয়েকদিন আগেই দার্জিলিঙের হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড আশঙ্কা প্রকাশ করেন জিটিএর চিফ এগজ়িকিউটিভ অনীত থাপা তাঁর দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে ভাঙানোর চেষ্টা করেছেন। অবশেষে তাই হল শনিবার।প্রোমোসকর নতুন দলে যোগ দিয়ে অবশ্য অজয় এডওয়ার্ডের উপরেই দায় চাপিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, তাঁকে দল থেকে বের করে দেওয়াতেই তিনি অন্য দিলে যোগ দিলেন। অন্যদিকে অজয় জানিয়েছেন, তিনি অনেকবার দুজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন, তাঁদের বাড়িতে গিয়েছেন, কিন্তু তাঁদের দেখা পাননি। ফোনও ধরেননি তাঁরা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ঠিক নয়। এদিকে অনিত থাপা বলেছেন, "আমি কাউকে দলে যোগ দিতে বলিনি। কেউ নিজে দলে আসতে চাইলে তাঁকে স্বাগত। এমনকী অজয় এডওয়ার্ডও যদি দলে যোগ দিতে চান, তাহলে তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি।"
দলত্যাগী প্রমসকর হামরো গড়ে তোলার পিছনে অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন। বছর তিনেক আগে জিএনএলএফ থেকেই একসঙ্গে পথ চলা শুরু হয়েছিল অজয় এবং প্রোমোসকরের। পাহাড়ের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরাও জানাচ্ছেন, দু’জনের মধ্যে বহু দিনের সম্পর্ক। সেই সূত্রেই জিএনএলএফ থেকে বেরিয়ে তাঁরা হামরো পার্টি গড়েন। তাঁর দল ছাড়াটা ধাক্কা মনে করছেন হামরো পার্টির অন্য নেতা-কর্মীরা। তবে দুই নেতা দল ছাড়ার পর থেকে সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে যাচ্ছেন অজয়।
আরও পড়ুনঃ এভাবে প্লেটলেট বাড়ান, ডেঙ্গি থেকে নিজেকে ও পরিবারকে বাঁচান
অন্যদিকে রবিবার বিজেপিতে যোগদান করেন মিরিক পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা এমকে জিম্বা। বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। এ ছাড়াও শনিবার ওই দলবদলের অনুষ্ঠানে আরও ৩০০ পাহাড়বাসী বিজেপিতে যোগদান করেন। এদের মধ্যে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট সহ আরও কয়েকটি আঞ্চলিক দলের কর্মী-সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন। সাংসদ রাজু বিস্তা জানান, পাহাড়ের রাজনৈতিক সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকার সচেষ্ট। অন্যদিকে, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও পাহাড়ের উন্নয়নে কেন্দ্র সচেষ্ট বলে দাবি করেন।