Sevoke Coronation Bridge: মোরবিতে (Morwi) সেতু দুর্ঘটনার জেরে পশ্চিমবঙ্গেও (West Bengal) একের পর সেতু মেরামতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে ভাগ্যে শিঁকে ছিঁড়ছে শিলিগুড়ি ও ডুয়ার্সের সংযোগকারী ব্রিটিশ আমলের ঐতিহ্যবাহী করোনেশন সেতুরও (Sevoke Coronation Bridge) । যার অধুনা নাম বাঘপুল (Baghpool)। সেবকের (Sevoke) তিস্তা (Teesta) নদীর উপর সেই ঐতিহাসিক সেতুটি ধরে রাখতে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ত দফতর।
আরও পড়ুনঃ কোন রাশির সঙ্গে প্রেম করলে জুটি ভাঙবে না, সম্পর্ক গড়ার আগে জেনে রাখুন
নভেম্বরেই সেতু সংস্কারের কাজ শুরু হবে
গুজরাটে (Gujrat) সেতু বিপর্যয়ের পর টনক নড়েছে এই রাজ্যেরও। রাজ্যের সেতুগুলির হালহকিকত জানতে মঙ্গলবার নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বসেছিল। সেখানে চলতি মাসের মধ্যে প্রত্যেকটি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ যেমন দেওয়া হয়েছে, তেমনই করোনেশন সেতু সংস্কারের কাজ দ্রুত শুরুর পাশাপাশি শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূর্তমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, করোনেশন সেতু সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগে। আগামী ১৭ নভেম্বর টেন্ডার ওপেন হবে। তারপরেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।
সাংসদের দাবি
এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আলাদা টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে দাবি করছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। করোনেশনের বিকল্প সেতু তৈরির কথা দীর্ঘদিন ধরেই তিনি দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বারবার তা নিয়ে সরবও হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাঘপুলের সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডার হয়েছে। কাজটির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা বরাদ্দ করেছে। কাজ করবে রাজ্যের পূর্ত দপ্তর। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সাহায্য করবে।
রাজ্যে সবমিলিয়ে রয়েছে ২১০৯টি সেতু। এর মধ্যে সেবকের করোনেশন সেতুও রয়েছে। তবে ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শনের নিরিখে এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। স্তম্ভ ছাড়া মাত্র একটি আর্চের উপর দাঁড়ানো সেতুটির কারিগরিও দেখার মতো। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রত্যেকটি সেতু, উড়ালপুল এবং ঝুলন্ত সেতু বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে, কতটা ধারণক্ষমতা কমেছে, সমস্ত কিছুই পরীক্ষা করা হবে। নভেম্বরের মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাস্তুকারদের। এর জন্য প্রত্যেকটি জেলায় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। পূর্তমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের প্রত্যেকটি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে সেতুগুলি দুর্বল বলে চিহ্নিত হবে, তার কাজ জরুরিভিত্তিতে করা হবে।
আরও পড়ুনঃ কার্তিক মাসে এভাবে লক্ষ্মীপুজো করুন, রোগমুক্তি-আর্থিক সমৃদ্ধি
২০১১ সালে দেখা দিয়েছিল ফাটল
২০১১ সালেই এই সেতুটিতে ফাটল দেখা দেয়। সেসময়ই সেতুটিকে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পাশাপাশি, ১০ টনের বেশি ওজনের গাড়ি যাতে সেতুটির ওপর দিয়ে চলাচল করতে না পারে, সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি বলে অনেকেরই অভিযোগ।