ফের চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ সামনে এল। অভিযোগের তির এক শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে। এবার ঘটনাস্থল দক্ষিণ দিনাজপুর। তাও অল্প-স্বল্প টাকা নয়, প্রায় কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন ঃ NPS Benefits: প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পেনশন চান? এই সরকারি স্কিমে টাকা রাখুন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্তদের নাম দীপক দাস ও রিঙ্কু দাস। তারা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের দেহবন্দ গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সরলা বিএনএস হাইস্কুলে চাকরি করেন দুজনে। দুজনই প্যারাটিচার বলে জানা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই নানা জনের কাছ থেকে বিভিন্ন চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা টাকা তুলেছিলেন। কিন্তু চাকরি তো দিতে পারেননি, উরপরন্তু টাকাও ফেরত দিতে পারেননি তারা। ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরেই দানা বাঁধছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের একাধিক নেতা-মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর স্থানীয়রা আর চুপ করে থাকতে পারেননি।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গ্রুপ ডি, কৃষি বিভাগ, গ্রুপ সি আবার কখনও প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল টাকা হাতিয়েছেন ওই দম্পতি। বেশ কয়েকজনকে মেল করে চাকরির ভুয়ো নিয়োগ পত্রও পাঠান।প্রতারণার বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার অভিযুক্ত দম্পতিকে আটকে রাখেন কয়েকজন। তারাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দু’জনকেই গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুশমন্ডি থানার আইসি তপন পাল।
জানা গিয়েছে এক ব্যক্তিকে সেচ দপ্তরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে অভিযুক্ত দীপক ১০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা নেয়। গ্রুপ সি-র চাকরির জন্য আরও একজনের কাছ থেকে ৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও গ্রামের একাধিক লোককে কখনও গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেবেন বলে দেড় লাখ, আবার কারও কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়েছে ওই দম্পতি বলে অভিযোগ।
অভিযুক্ত দীপক দাস অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তিনি কোনও টাকা নেননি। এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত বলে তিনি নাম জানিয়েছেন। তারা কারা, সে বিষয়ে অবশ্য পুলিশ এখনই কোনও মন্তব্য করেনি। যে স্কুলে তারা শিক্ষকতা করে, সেই সরলা বিএনএস স্কুলের তরফে তাদের বিষয়ে আলোচনা করে স্কুলে তাদের ভবিষ্যত ঠিক করা হবে বলে জানানো হয়েছে।