Advertisement

মরা ভাগীরথী দিয়েই ভারতে ঢুকেছিল হান! সঙ্গে ছিল গাইড

মালদার কালিয়াচকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ধৃত চিনা নাগরিককে ঘিরে রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। তদন্তে উঠে এল নতুন তথ্য। জানা যাচ্ছে ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ওই চিনা নাগরিক গাইড ব্যবহার করছিল। ইতিমধ্যে এই মামলার তদন্তভার গিয়েছে রাজ্য এসটিএফ-এর হাতে। তবে পাশাপাশি তদন্ত চালাবে মালদা জেলা পুলিশও।

চিনা নাগরকিকে ঘিরে ক্রমেই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে
মিল্টন পাল
  • মালদা,
  • 16 Jun 2021,
  • अपडेटेड 1:38 PM IST
  • চিনা নাগরকিকে ঘিরে ক্রমেই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে
  • ইতিমধ্যে তদন্তভার হাতে নিয়েছে এসটিএফ
  • হানের ভারতীয় গাইডের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে

মালদার কালিয়াচকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ধৃত চিনা নাগরিককে ঘিরে রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। তদন্তে উঠে এল নতুন তথ্য। জানা যাচ্ছে ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ওই চিনা নাগরিক গাইড ব্যবহার করছিল। ইতিমধ্যে এই মামলার তদন্তভার গিয়েছে  রাজ্য এসটিএফ-এর হাতে। তবে পাশাপাশি তদন্ত চালাবে মালদা জেলা পুলিশও।  ওই চিনা নাগরিকের কে গাউড ছিল তার খোঁজ শুরু হয়েছে। এদিকে বুধবারকে চিনা নাগরিক হানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে এসটিএফ। এরপর তাঁকে আনা হবে কলকাতায়। সেজন্য হানকে মালদা আদালতে তোলা হয়েছে।  

পুলিশ সূত্রে  জানা গিয়েছে, ধৃত চিনা নাগরিক হান জুনওয়ে বর্তমানে পুলিশ হেফাজত রয়েছে। তার ভারতে প্রবেশের উদ্দেশ্য কী? কেনই বা সে মালদা জেলার ওই পথকে ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশ করলো? তাহলে কি তার কোন গাইড ছিল? যে  মোটা টাকার বিনিময়ে ওই পথ তাকে চিনিয়ে দিয়েছিল? যে পথ দিয়ে ওই নাগরিক মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিলিক সুলতানপুর এসেছিল। এই প্রশ্নেরই এখন উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। হানের গাইড কোনও ভারতীয় কিনা? হলে তাঁকে খুঁজে বার করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এসটিএফ-এর কাছে।

 

 

যে সেতুর কাছ থেকে হানকে আটক করে পুলিশ সেটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে খুবই কাছে। মাঝে রয়েছে মরা ভাগিরথী। যার জল খুবই কম। বাংলাদেশের চাঁপাইনব্বাগঞ্জের চাঁদপাড়া বলে একটি গ্রাম রয়েছে। সেখানে একটি সেতু রয়েছে। যার ওপর দিয়ে প্রতিদিন বাংলাদেশের যাত্রীবাহি বহু গাড়ি যাতায়াত করে। ফলে এই তথ্য কোন ট্রেন্ড গাইড ছাড়া জানা সম্ভব নয়।  এই পথ ধরেই সেই হানকে  ভারতে প্রবেশ করিয়েছে। কারণ ভারতের সীমান্ত এলাকায় রয়েছে বিএসএফ-এর কড়া পাহাড়া। ফলে কোনো মতেই সেখান দিয়ে প্রবেশ অসম্ভব। 

Advertisement

পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ধারণা যে এলাকা দিয়ে ওই চিনা নাগরিক ভারতে প্রবেশ করে সেটি মরা ভাগীরথী নদী। বর্তমানে বৃষ্টি হওয়ায় নদীতে যথেষ্ট জল রয়েছে। ‌ এই অবস্থায় ওই ব্যক্তি যদি নিজে নিজে নদী পার করার চেষ্টা করে তাহলে তার ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো। সীমান্ত পার করার জন্য তার নির্দিষ্ট গাইড ছিল। একজন বাংলাদেশি গাইড এবং  একজন ভারতীয় গাইড। সেই গাইডের মাধ্যমেই নদীর যেখানে জল কম আছে সেখান থেকে হেঁটে হেঁটে ভারতে প্রবেশ করেছে বলে পুলিশের ধারণা। বিষয়টি বিএসএফের নজরে এসে যাওয়ায় সে ধরা পড়ে যায়। ‌

ওই চিনা নাগরিক যে সাধারণ কোনো অনুপ্রবেশকারী না তা পুলিশি জেরার উঠে এসেছে। তার কাছে উদ্ধারকৃত ডিভাইসে চিনে ব্যবহৃত ম্যান্ডারিন ভাষার লক মিলেছে। এই ভাষা  উত্তর চিন, তাইওয়ান ও সিঙ্গাপুরে ব্যবহার করা হয়।  সেই ভাষায় পাসওয়ার্ড দিয়ে লক হয়েছে ডিভাইস। বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে সেই লকগুলি ভাঙার চেষ্টা করছে পুলিশ। সেখানে অনেক চ্যাট রয়েছে। তা উদ্ধার করতে পারলেই এই চিনা নাগরিকের রহস্যের সমাধান বেরোবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement