করোনার (Corona) জেরে ফের একবার পর্যটন ব্যবসায় ধাক্কার আশঙ্কা। করোনার সংক্রমণের হার উর্ধ্বমুখী হওয়ায় জলদাপাড়া, চিলাপাতা ও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে বাতিল হচ্ছে পর্যটকদের বুকিং। পর্যটকদের বুকিং বাতিল হওয়ায় ফের একবার বিপাকে পড়েছেন বেসরকারি পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ডুয়ার্সের (Dooars)হোম ষ্টে গুলোর বুকিং-ও বাতিল করে দিচ্ছেন পর্যটকরা। যার জেরে উদ্বিগ্ন হোম স্টে মালিকরাও। একইভাবে বুকিং কমছে পর্যটন দফতরের বাংলোগুলিরও।
এর আগের লকডাউন উঠে যাওয়ার পর বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে পর্যন্ত পর্যটন দপ্তরের লজ গুলিতে ভালই ভিড় জমাচ্ছিলেন পর্যটকরা। যার জেরে হোম ষ্টের মালিক থেকে ট্যুরিস্ট গাইড, প্রত্যেকেরই বেশ কিছু উপার্জন হচ্ছিল। সেই সময় জলদাপাড়া এবং বক্সায় ৮৫ - ৯০ শতাংশ বুকিংও ছিল। কিন্তু ফের জলদাপাড়া বেসরকারি পর্যটন ব্যবসায় বুকিং ২৫ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে। প্রতিদিনই বুকিং বাতিল করছেন পর্যটকরা।
এই প্রসঙ্গে জলদাপাড়া ট্যূরিস্ট লজের ম্যানেজার নিরঞ্জন সাহা বলেন, 'এখন লজের বুকিং ৩০ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে। ভোট ও নতুন করে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন প্রতিদিনই পর্যটকরা বুকিং বাতিল করছেন।'
আলিপুরদুয়ার জেলায় চিলাপাতা, জলদাপাড়া ও বক্সার জঙ্গলের পাশে কোদালবস্তি, মেন্দাবাড়ি, রাজাভাতখাওয়া, জয়ন্তী, সান্তলাবাড়ি, বক্সা পাহাড়, টোটোপাড়া, রায়মাটাং, ভূটিয়াবস্তি, গারুচিরা, নিউল্যান্ডস, মারাখাতা ও শালকুমার এলাকায় প্রায় ৭০টি হোম স্টে আছে। জেলায় অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দপ্তরের তৈরি ৫৩টি ব্লু হোমস্টেও আছে। গরমের সময় নির্জন জঙ্গলের একটু অফবিট জায়গাগুলিতে হোমস্টেগুলি পর্যটকে পরিপূর্ণ থাকতো। কিন্তু বুকিং বাতিলের হিড়িক পড়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ডুয়ার্সের হোম স্টে মালিকরাও।
কালচিনির গারোবস্তির হোমস্টে মালিক লালসিং ভূজেল বলেন,'ভোট ও নতুন করে করোনার কোপ শুরু হওয়ায় রোজ বুকিং বাতিল হচ্ছে। মঙ্গলবারই কলকাতা থেকে ফোনে দুটি পরিবার হোমস্টের বুকিং বাতিল করেছে। মনে হচ্ছে গত বছরের মতো বোধহয় ফের পর্যটন ব্যবসায় বিপর্যয় আসছে।'
আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রক্ট ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, 'ভোটের কারণে ও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় ফের আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। পর্যটকরা ঝুঁকি নিতে চাইছে না। রোজই বুকিং বাতিল হচ্ছে। যেভাবে বুকিং বাতিল হচ্ছে তাতে ফের বিপর্যয়ের মুখে আমরা। রাজনৈতিক দলগুলি ভোট নিয়েই ব্যস্ত। আমাদের কথা কেউ ভাবছে না।'