জগদ্ধাত্রীপুজো মানেই বাঙালির মুখে বারে বারে উঠে আসে কৃষ্ণনগর ও চন্দননগরের নাম। আর শুধু বাঙালিই নয়, এই দুই জায়গার জগদ্ধাত্রী পুজোকে ঘিরে আবেগে ভাসেন জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ।
এলাকার মানুষ ছাড়াও বছর বছর ভিন জেলা, এমনকি ভিন রাজ্যে থেকেও মানুষ ভিড় জমান মা জগদ্ধাত্রীকে দর্শন করতে। আর শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও মায়ের টানে ছুটে আসেন ভক্তরা।
রীতিনীতি ও ঐতিহ্য মেনে বছর বছর মায়ের আরাধনার মেতে ওঠেন মানুষ। প্রতিমা ও মণ্ডপ সজ্জা দেখতে ভিড় জমান অগনিত দর্শনার্থী।
তবে করোনা আবহে এই বছর ছবিটা অন্য। প্রশাসনের নির্দেশ মেনে প্রায় সব জায়গাতেই মণ্ডপ হয়েছে খোলা মেলা। সঙ্গে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মণ্ডপের সামনে করা হয়েছে ব্যারিকেড।
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয়, বিশেষত বিসর্জনের শোভাযাত্রা আলোকসজ্জা দেখার জন্য মুখিয়ে বসে থাকেন দর্শনার্থীরা। কিন্তু এই বছরে করোনা আবহে হচ্ছে না সেই শোভাযাত্রা। ফলে একদিকে যেমন দর্শনার্থীদের মন খারাপ, অন্যদিকে তেমনই ব্যবসায়িক বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানাচ্ছেন আলোক শিল্পীরা।
মায়ের আরাধনা ঘিরে মানুষের আবেগ আজও আগের মতোই। তবে করোনা আবহে ভিড়ে ভাটা। পুজোর উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, অন্যান্যবারের চেয়ে এবার মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় অনেকটাই কম।
একদিকে যেমন দর্শনার্থীদের ভিড় কম, অন্যদিকে তেমনই সতর্ক প্রশাসনও। করোনা বিধি সঠিক ভাবে মানা হচ্ছে কি না সেদিকে কড়া নজর পুলিশের।
এই বছর করোনা আবহে আনন্দে ভাটা পড়লেও, সামনের বছর মারণ ভাইরাস মুক্ত পৃথিবীতে আবারও আগের মতোই মায়ের আরাধনা হবে, আপাতত এই আশা নিয়েই আগামী বছরের অপেক্ষায় ভক্তরা।