ছদিন ধরে নেই গ্রামে বিদ্যুৎ, ব্যাপক সমস্যায় পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর দু নম্বর ব্লকের ঝাউডাঙ্গা পঞ্চায়েতের ঝাউডাঙ্গা এবং হালতাচড়া গ্রামের প্রায় দেড়শ পরিবার।
ফলে গ্রামবাসীরা ভ্যাপসা গরমে অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। নাওয়া খাওয়া প্রায় শিকেয় উঠেছে। বন্ধ প্রায় সমস্ত কাজ। গরমে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠে পড়েছে।
লকডাউনের জেরে বন্ধ স্কুল। পড়াশোনা করতে হচ্ছে অনলাইনে। গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইলে চার্জ দিতে না পারায় করতে পারছে না পড়াশুনো।
গ্রামে অনেকেই টোটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। টোটোতেও চার্জ না থাকায় সেই উপার্জন বন্ধ ৬ দিন ধরে। পাশাপাশি তীব্র গরমে গ্রামের কয়েকশো মানুষ ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন।
রান্না পাক একরকম শিকেয় উঠেছে গ্রামে। কারণ চুলোর সামনে দাঁড়ানো সেও এক ঝক্কির। কোনও মতে ভাত ভাতে ফুটিয়ে চলছে ক্ষুণ্ণিবৃত্তি।
টানা নিম্নচাপের জেরে ব্যাপক বৃষ্টির পর ব্যারেজ থেকে ছেড়েছে জল। আর তার ফলে ভরেছে মাঠ ঘাট থেকে সমস্ত কিছু।
ঝাউডাঙা গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে অন্য জেলা নদিয়ার বেথুয়াডহরি থেকে। আর তাতেই হয়েছে বিপত্তি। এগারো হাজার ওয়াটের ইলেকট্রিকের লাইনের যে পোল রয়েছে, সেটির বিদ্যুতের তার জলে ঠেকতে আর কয়েক হাত বাকি।
যার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে লাইন বন্ধ করে দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর গ্রামে কারেন্ট আসার পর থেকেই প্রতি বছর বর্ষায় একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এই এলাকার মানুষদের বলে জানান তারা।
এগারো হাজার ওয়াটের লাইনের তার উঁচু করার জন্য বহুবার বিদ্যুৎ দপ্তরে গ্রামের মানুষ দরবার করলেও কোনও ফল হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের।
গতকাল নদিয়ার বেথুয়াডহরিতে বিদ্যুৎ দপ্তরের বিক্ষোভ দেখায় হালতাচড়া এবং ঝাউডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা।
এরপর এদিন শনিবার গ্রামে লাইন ঠিক করতে আসার কথা থাকলেও বেলা পেরিয়ে যাওয়ার পরও বিদ্যুৎ গ্রামে এসে পৌঁছায়নি গ্রামে।
ফলে ক্ষোভ চরমে উঠেছে। বিদ্যুৎ ছাড়া কোনওভাবেই বাঁচা সম্ভব নয়। অনেক শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ফলে অবিলম্বে বিদ্যুৎ চাই দাবি উঠেছে।
রবিবারও বিদ্যুৎ না এলে তাঁরা সোমবার ফের বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির অফিস ঘেরাও করবেন তাঁরা। অবিলম্বে গ্রামে বিদ্যুৎ ফিরুক চাইছেন গ্রামবাসীরা।