কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা দেখলে আমরা প্রায়ই 'ফিল্মি' বলে বর্ণনা করি। কিন্তু বর্ধমানের কেতুগ্রামে যে ঘটনা ঘটল তাকে ফিল্মি বা অতিনাটকীয় বললেও কিছুই বোঝা যাবে না। ঘটনার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কে হাড় হিম সকলের। সুদে নেওয়া টাকা সময়মতো পরিশোধ না করতে পারার অভিযোগে এক প্রৌঢ়কে হাত-পা বেঁধে রেললাইনে ফেলে দিল দুষ্কৃতীরা। ভাগ্যক্রমে প্রাণে বাঁচলেও একটি পা বাদ পড়েছে তাঁর। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ানোর পাশাপাশি আতঙ্ক এলাকায়।
আরও পড়ুনঃ দার্জিলিঙে টাইগার হিলে সানরাইজ দেখা যাবে? শর্তসাপেক্ষে কাটল জটিলতা
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। জখম ব্যক্তির নাম রুদ্রভৈরব মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কাটোয়া-আজিমগঞ্জ লাইনের পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের শিবলুন স্টেশনের কাছে অম্বলগ্রাম রেল লাইনে এই ঘটনাটি ঘটে। রক্তাক্ত ও জখম অবস্থায় স্থানীয়রা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। আঘাতের প্রতিঘাতে তাঁর বাঁ পা কেটে বাদ দিতে হয়েছে।
ঘটনার প্রেক্ষিত
জানা গিয়েছে জখম ওই ব্যাক্তি সরকারি কর্মী। হাসপাতালের বেডে শুয়ে ওই ব্যাক্তি রুদ্রভৈরব জানিয়েছেন, টাকার প্রয়োজনে অফিসেরই এক সহকর্মী এবং তাঁর বন্ধুর কাছ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ধার করেছিলেন। তাঁর দাবি, সেই টাকা ইতিমধ্যেই শোধ করেও দিয়েছেন। এরপর ওঁরা সুদ বাবদ আরও কয়েক লক্ষ টাকা বাকি রয়েছে বলে দাবি করছিল ওই সহকর্মী ও তার বন্ধু। সেই টাকা অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে বলেও কয়েকদিন ধরে লাগাতার তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করছিল তারা।
বৃহস্পতিবার আচমকা আক্রমণ
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে থাকলেও এমন কিছু হবে স্বপ্নেও ভাবেননি ওই ব্যক্তি। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিবলুনে গ্রামের বাড়ি থেকে কাটোয়ার বাড়িতে মোটরবাইকে ফিরছিলেন তিনি। সে সময় ২ জন মোটর বাইক নিয়ে পথ আটকে দাঁড়ায়। তারপর কিছু একটা খাইয়ে দেয় তাঁকে বলে খোদ জানান রুদ্রভৈরববাবু। এরপর তাঁর আর কিছু মনে নেই। পরে তাঁর জ্ঞান ফেরে হাসপাতালের বেডে।
আরও পড়ুনঃদীর্ঘ দিন ধরে পিঠে ব্যথা, ক্যান্সার নয় তো? বোঝা যায়
এই ঘটনায় জিআরপি এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যদিও অভিযোগকারী বা তাঁর পরিবারের পক্ষে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে খবর। তবে ঘটনার কথা শুনে শিউরে উঠেছেন স্থানীয় ও প্রতিবেশীরা। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করা হচ্ছে।