রবিবার রাজ্যের দুটি ওয়ার্ডে উপনির্বাচন শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে বনগাঁ ও আসানসোলে পৌরসভার উপনির্বাচন ৷ সকাল ৭ টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম কয়েক ঘন্টায় তেমন কোনও গোলমালের খবর মেলেনি। তবে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে দুই জায়গাতেই। দুটি জায়গাতে উপ-নির্বাচন হলেও তার প্রেক্ষিত আলাদা।
রবিবার সকাল ৭টায় বনগাঁ পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে তেমন উত্তেজনা নেই স্বাভাবিকভাবেই। যেহেতু এই ফলের উপর রাজ্যের সার্বিক ফলে কোনও প্রভাব পড়বে না বললেই চলে। তবে এলাকার মানুষের কিছুটা উৎসাহ রয়েছে। মোটামুটি নিয়মরক্ষার ভোট হলেও রাজ্যে গত এক মাসে একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা উঠে আসার পর হাতে গরম ভোটে কী প্রভাব পড়ে তা দেখার জন্য উৎসুক রাজ্যবাসী। বনগাঁয় উৎসাহ তুলনামূলক কম। তবে আসানসোলে নির্বাচিত মেয়রকে জিতিয়ে আনার জন্য কিছুটা উৎসাহ রয়েছে।
বনগাঁ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর দিলীপ দাস পৌরসভা নির্বাচনের কিছুদিন পর মারা যান। এবার তৃণমূল তাদের প্রার্থী হিসাবে পাপাই রাহাকে মনোনীত করেছে। ওই আসনে বিজেপি অরূপ কুমার পাল, সিপিআইএম পদপ্রার্থী ইউনিয়ন নেতা ধৃতিমানকে, কংগ্রেস প্রভাস পালকে প্রার্থী মনোনীত করেছে।
অন্যদিকে, ২৫ ফেব্রুয়ারি বিধান উপাধ্যায়কে আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র করা হয়। কিন্তু ওই সময় তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হননি। তাঁকে জেতাতে আসানসোল পৌরনিগমের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত টিএমসি কাউন্সিলর সঞ্জয় চক্রবর্তীকে তার পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছে। এই ওয়ার্ড থেকে উপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে টিএমসি। সিপিআইএম, বিজেপি ও কংগ্রেস এই নির্বাচনে লড়ছে। সিপিআইএম-এর প্রার্থী শুভাশিস মণ্ডল, বিজেপি প্রার্থী করেছেন শ্রীদীপ চক্রবর্তী এবং সোমনাথ চ্যাটার্জি কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন। তবে এবার উপাধ্যায়ের জন্য এটি মর্যাদার লড়াই।