কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই, শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের সমতলেও ধীরে ধীরে গরম পড়ছে। রাতে না হলেও দিনের বেলায় ফ্যান চলতে শুরু করেছে।
লেপ-কম্বল তো কবেই তোরঙ্গ, আলমারিতে উঠে গিয়েছে। রাতে এখনও হালকা চাদর গায়ে উঠলেও, সেটিও এ বছরের মতো ওঠার পথেই।
তবে সমতলে যেমন আবহাওয়াই থাক না কেন, তবে এর কোনও প্রভাব এখনও নেই পাহাড়ে। দার্জিলিং-কালিম্পং বা অন্য জায়গায় এখনও মনোরম ওয়েদার এবং জ্যাকেট-সোয়েটার ছাড়া চলছে না।
বিশেষ করে দুদিন আগে তুষারপাতের পর রবিবার সকাল থেকে নতুন করে তুষারপাত শুরু হয়েছে উত্তর সিকিমের লাচুং-লাচেনে।
উপস্থিত পর্যটকদের কাছে যা বাড়তি আমেজ এনে দিয়েছে। যাঁরা এমনিই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়েছিলেন, তাঁরা জানিয়েছেন এদিনের তুষারপাত তাঁদের কাছে বাড়তি পাওনা।
কলকাতা ও আলিগড়ের বাসিন্দা দুটি পরিবার এদিন লাচুং-লাচেন ঘুরতে গিয়েছিলেন। তাঁরা ভাবতে পারেননি এই সময় তুষারপাত পাবেন।
তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের ধারণা ছিল, ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই যা তুষারপাত হওয়ার তা হয়। এই সময় তুষারপাত বোধহয় হয় না। তাই তাঁরা এমন অযাচিত প্রাকৃতিক উপহার পেয়ে খুশি।
তবে এর আগেও মার্চের শুরুতে বা গোড়ায় তুষারপাতের নজির রয়েছে। বহুবার এমন হয়েছে, গোটা শীতকাল জুড়ে তুষারপাত না হলেও এই সময় তুষারপাত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে আসলে শীতকালে তুষারপাতের পরিস্থিতি অনেক সময়ই তৈরি হয়। তাপমাত্রাও হিমাঙ্ক ছুঁয়ে ফেলে। কিন্তু বাতাসে জলীয় বাষ্প না থাকায় তুষারপাত হয় না। এই সময় বাতাসে জলীয় বাষ্প ফেরায় তুষারপাত হয়।