পূ্র্বাভাস ছিলই। আর তা সত্যি করে সিকিম ও দার্জিলিংয়ের উঁচু অংশে শুরু হল তুষারপাত। দার্জিলিংয়ের সান্দাকফু ও সীমানা এলাকায় তুষারপাত শুরু হয়েছে।
সিকিমের পেলিং ও লাচুংয়ে মঙ্গলবার রাত থেকেই টানা তুষারপাত শুরু হয়েছে। সাদা চাদরে ঢেকে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীতের মরশুমে এই এলাকায় প্রথম তুষারপাত।
এদিকে দার্জিলিংয়ের নীচু অংশে, ঘুম, জোড়বাংলো, কার্শিয়াংয়ে বুধবার ভোর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে পাহাড়। আসুন দেখে নিই কিছু ছবি।
দার্জিলিংয়ের সান্দাকফুতে তুষারপাত শুরু হয়েছে বুধবার সকাল থেকেই। এটি এই বছরের দ্বিতীয় তুষারপাত। এর আগে নভেম্বরে একদিন তুষারপাত হয়েছিল, তবে তা ছিল সামান্য পরিমাণে।
সকাল থেকে কুয়াশায় পাহাড় ঢেকে গিয়েছিল এবং বিকেলে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। দার্জিলিং এবং কার্শিয়ংয়ে তাপমাত্রা ক্রমশ কমেছে এবং এখন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি।
কয়েকদিন আগে সান্দাকফুতে বছরের প্রথম তুষারপাত হয়েছিল,সে সময়ও তাপমাত্রা কমে গিয়েছিল।
মঙ্গলবার অবশ্য আকাশ পরিষ্কার ছিল এবং দিনের বেলায় ঝকঝকে রোদ দেখা যায়। তবে বেলা পড়তেই ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করে।
রাতে এই সমস্ত এলাকার তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির কাছাকাছি চলে যায়। এলাকায় যতটা ঠান্ডা তার চেয়ে বেশি কাঁপুনি অনুভব হচ্ছে, কনকনে জোলো বাতাস বয়ে যাওয়ার জন্য।
যা পরিস্থিতি এমন আরও দু'একদিন টানা চললে আরও নীচু এলাকাতেও তুষারপাত হতে পারে। দার্জিলিং শহর এলাকাতেও তুষারপাত হবে এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। যার ফলে পর্যটকদের উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে।
টাইগার হিল ও এর আশেপাশের এলাকায় পর্যটকরা এদিন অন্যদিনের চেয়ে বেশি ভিড় করেছিলেন। আচমকা এমন ঘটে যাওয়ায় অনেকেই সেখানে পৌঁছতে পারেননি।
তবে পরিস্থিতি এমনই থাকলে বৃহস্পতিবার এই সমস্ত এলাকায় পর্যটক বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ও পর্যটন স্টেক হোল্ডাররা।
এদিন যাঁদের টাইগার হিল-সান্দাকফুর আশপাশে দেখা গিয়েছে সেই সমস্ত পর্যটকদের অধিকাংশই কাছাকাছি জায়গা যেমন শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি থেকে ছুটে আসা।
এদিন দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি ছিল। কার্শিয়াং-কালিম্পংয়ে ১২-১৩ ডিগ্রি র মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। শিলিগুড়িতে ১৬-১৭ ডিগ্রিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে
সমস্ত ছবি-ফেসবুক, পর্যটকদের কাছ থেকে পাওয়া