পাহাড়ে টানা বৃষ্টিতে আবার ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা। তিস্তার জল বেড়ে ভেসে গিয়েছে কালিম্পং জেলার তিস্তাপারের বেশ কয়েকটি এলাকা।
শনিবারই তিস্তাবাজারের বাসিন্দাদের ‘জলবন্দি’ হয়ে থাকতে হয়েছে। দুপুরের পর জল কিছুটা নেমেছিল।
শনিবার রাত থেকে পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় রবিবার ভোর রাত থেকে আবার জলস্ফীতি দেখা গিয়েছে তিস্তায়।
রবিবার সকাল থেকে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় তিস্তাবাজার এলাকায়। জল বইছে তিস্তাবাজার থেকে মেল্লি হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তার উপর দিয়ে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি খানিক কমলেও তিস্তার জলস্তর এখনও সেই ভাবে কমেনি। সেলফিদাড়া, রম্ভি এলাকায় তিস্তার স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক।
২৮ মাইলে রাস্তা সম্পূর্ণ ভাবে বসে গিয়েছে। সেলফিদাড়ায় রাস্তায় একটি অংশ নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। লোহাপুল, ২৯ মাইল, কালিঝোরার কিছু অংশ বসে গিয়েছে।
আগেও এমন জল এসেছে। কিন্তু দ্রুত নেমে গিয়েছে। ফলে ঘরবন্দি হয়ে থাকলেও খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি।
এ বার জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঘর থেকে বেরোতে পারছেন না তাঁরা। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক যত দিন না স্বাভাবিক হচ্ছে, সমস্যার শেষ নেই।
তিস্তার জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় জলমগ্ন হয়ে পড়েছে সমতলের জলপাইগুড়ি জেলার একাংশ। কারণ এই এলাকার উপর দিয়ে তিস্তা গিয়েছে।
আপার জংগুর লিংডং-এ রাস্তা রিস্টোরেশনের কাজ শেষ করার পরে রবিবার জংগুর রাস্তাটি চলাচলের মতো করা হয়েছে। এখানে ১৩ জুন একটি বড় ভূমিধস নামে।
যানবাহন এখন Dzongu এবং Shipgyer রুট মাধ্যমে Chungthang এবং Lachung অ্যাক্সেস করতে পারবেন।
যাইহোক, রাস্তার অবস্থা খুব একটা ভালো নয়, যাদের শুধুমাত্র জরুরি তাঁদেরই যাতায়াত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।