Kalimpong-Sikkim Landslide: বর্ষা পাকাপাকি আসার আগেই ধসের কবলে পাহাড়। রবিবার রাতে ভারী বৃষ্টিতে হড়পা বান নেমে ধসে গেল কালিম্পংয়ের রম্ভি এলাকার একাধিক বাড়ি। রাত থেকেই ঘুম ছুটেছে ওই এলাকা সহ গোটা পাহাড়েই। কারণ এই সবে বর্ষার শুরু। দিন এখনও পড়ে রয়েছে। কী হবে ভেবেই আতঙ্ক শুরু হয়েছে এলাকায়। ব্যাহত হয়েছে সেবক-রংপো প্রকল্পের কাজও।
আরও পড়ুনঃ ঘূর্ণিঝড় 'বিপর্যয়' কবে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে? জানাল আবহাওয়া দফতর
আরও পড়ুনঃ স্বাদে দুর্দান্ত, ১ টির দাম কোটি টাকার বেশি, বিশ্বের সবচেয়ে দামী মাছ এটাই
রবিবার রাত থেকে তরাই-ডুয়ার্স সহ গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত। দফায় দফায় ভিজেছে শিলিগুড়ি থেকে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি থেকে পাহাড়। রম্ভিতে ধসের জেরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ-সহ স্থানীয় একটি গ্রামের একাধিক বাড়ি। থমকে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজও। সেখানে প্রকল্পের দ্বিতীয় রেল স্টেশন রিয়াংয়ের স্টেশন ইয়ার্ড তৈরির কাজ চলছে। বৃষ্টির জেরে সেই কাজ ব্যাহত হয়েছে। তবে হড়পা বান ও ধসের জন্য রেল প্রকল্পের কাজে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের। এর আগেও তারা এ নিয়ে একাধিকবার দরবার করেছিলেন।
কালিম্পংয়ের জেলাশাসক আর বিমলা সংবাদমাধ্য়মকে বলেছেন, “বিপর্যয় মোকাবিলা দল উদ্ধার কাজে নেমেছে। বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে ধস আটকাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে।” রেলের তরফ থেকে বিকল্প বন্দোবস্ত ও ধস রুখতে কোনও প্রবল ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ধস নামে সিকিমরে পথে ডিকচু সিংতাম রোডেও। ওই রাস্তাটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। একটি গাড়ির উপর বড় পাথরের চাঁই এসে পড়ে। গাড়ি চালক প্রাণে বেঁচে গেলেও গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকী গাড়িটিকে সরানোও সম্ভব হয়নি। তবে প্রশাসনের তরফে ধস সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।