কথাতেই আছে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। কোভিডকালে দীর্ঘসময় ঘরবন্দি থেকে দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড় অনেকের। এরকম মানুষদের জন্য অসাধারন একটি সুযোগ নিয়ে এসেছে ভারতীয় রেল।
খুব অল্প খরচে, ভারতের পাঁচটি জ্যোতির্লিঙ্গ এবং স্ট্যাচু অফ ইউনিটি ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সম্পূর্ণ কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই ভ্রমণের আয়োজন করেছে IRCTC।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় দুর্গাপুর স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করল ভারত দর্শন এক্সপ্রেস। তেরদিনের যাত্রাপথে ট্রেনটি ঘুরিয়ে দেখাবে ভারতের বিখ্যাত পাঁচটি জ্যোতির্লিঙ্গ। এদিন স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ভারত দর্শন ট্রেনের সূচনা করা হয়েছে।
তালিকায় রয়েছে গুজরাতের সোমনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ, উজ্জয়নের মহাকাল জ্যোতির্লিঙ্গ, মধ্যপ্রদেশের ওমকারেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ, দ্বারাকার নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ, এবং বারানসীর কাশি বিশ্বনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ।
পাশাপাশি ভারত দর্শন এক্সপ্রেসের যাত্রীরা সুযোগ পাবেন স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেখার।
ট্রেনটি দুর্গাপুর থেকে যাত্রা শুরু করে একাধিক স্টেশনে থামবে। দুর্গাপুর থেকে ছেড়ে প্রথম থামবে আসানসোল স্টেশনে। তারপর চিত্তরঞ্জন, জামতারা, মধুপুর, জসিডি, দুমকা, ভাগলপুর, সুলতানগঞ্জ, জামালপুর, পাটনা, বক্সা'র মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে যাত্রী তুলবে। ভারত দর্শন এক্সপ্রেসের শেষ স্টপেজ পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন। এরপর ভারত দর্শন এক্সপ্রেস যাত্রীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ঘুরিয়ে দেখান হবে। ট্রেনটি দুর্গাপুর স্টেশন ফিরে আসবে ১৬ সেপ্টেম্বর।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর থেকে শুরু করে ফিরে আসা পর্যন্ত মোট ১১ দিন সময় লাগবে। এই পুরো প্যাকেজের জন্য় মাথাপিছু ১৩ হাজার টাকা করে দিতে হবে। কোভিড বিধি মেনে ট্রেনে মোট ৬০০টি আসন রয়েছে। ১০ রাত, ১১দিনের এই প্যাকেজ ভ্রমণের জন্য টিকিটের দাম ধার্য করা হয়েছে প্রতি দিন মাথাপিছু ৯০০ টাকা।
আইআরসিটিসির এক কর্তা জানিয়েছেন, এটি জ্যোর্তিলিঙ্গ স্পেশাল ট্রেন। যাতায়াতের জন্য ১৩দিন সময় লাগবে। দ্বারকা, উজ্জ্বয়নী সহ যেখানে যেখানে জ্যোর্তিলিঙ্গ রয়েছে সেই জায়গাকে ছুঁয়ে যাবে এই ট্রেন। কোভিড প্রটোকল মেনে এই স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। পুরো ৬০০ আসনই পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। ১৩ হাজার টাকার এই প্যাকেজ। চিকিৎসক সহ মেডিকেল টিমও রয়েছে এই ট্রেনে। একটি আইসোলেশন কোচও রয়েছে ট্রেনের সঙ্গে। কেউ অসুস্থ হলে বা জ্বর এলে তাঁকে ওই কোচে স্থানান্তরিত করা হবে।
ভারত দর্শন ট্রেন যাত্রায় সকাল, দুপুর এবং রাতে রেলের তরফেই থাকবে খাবারের ব্যবস্থা। নন এসি বাসে ঘোরান হবে যাত্রীদের। তাছাড়া প্রতিটি যাত্রীর জন্য থাকছে বিশেষ বিমার ব্যবস্থা।
এই সফর সফল হলে ভবিষ্যতে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য রেলের তরফে আরও এই প্যাকেজ আনা হবে। সেক্ষেত্রে ইচ্ছুকরা সবিস্তার তথ্যের জন্য আইআরসিটিসি-র হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ৯০০২০৪০০৬৯/৯০০২০৪০১০৮-এ যোগাযোগ করতে পাড়েন। এ ছাড়া সরাসরি আইআরসিটিসি-র জোনাল অফিস ০৩ কয়লাঘাট স্ট্রিট, কলকাতা-১, এই ঠিকানাতেও যোগাযোগ করা যেতে পারে। www.irctctourism.com থেকেও এ বিষয়ে বিশদে জানা যাবে।