বেড়েই চলেছে তাপমাত্রার পারদ। তীব্র দাবদাহে চরম অস্বস্তি রাজ্যজুড়ে। কলকাতাতেও দহনজ্বালা অব্যাহত। সোমবার রাজ্যের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি বেশি। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ৪ ডিগ্রি।
মঙ্গলবার সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকল ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি বেশি। আগামী দু'দিন তাপমাত্রার পারদ আরও চড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। সেইসঙ্গে চলতি সপ্তাহে শহর কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিও পার করে যেতে পারে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, কলকাতার আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে। অস্বস্তি বাড়াবে আপেক্ষিক আর্দ্রতা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঝড়-বৃষ্টির সেরকম কোনও সম্ভাবনা নেই। সেই সঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া এবংদক্ষিণ ২৪ পরগণার বেশকিছু এলাকায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়াই শুকনো থাকবে। কোনও জেলাতেই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে বুধবার দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তাহের শেষের দিকে উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও বৃষ্টি হতে পারে।
আগামী সাত থেকে আট দিন গরমে নাজেহাল হতে হবে দক্ষিণবঙ্গের মানুষকে। তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এই জেলাগুলিতে। সেইসঙ্গে কালবৈশাখীর কোনও পূ্র্বাভাস দিচ্ছেন না আবহাওয়াবিদরা। পাশাপাশি আগামী দুদিন তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম পাঁচদিন সম্ভবনা নেই বৃষ্টিপাতের। তবে একেবারেই যে আশার খবর শোনায়নি হাওয়া অফিস, তা নয়। নতুন মাস অর্থাৎ মে মাসের শুরুর দিকে পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হচ্ছে পশ্চিমী হিমালয়ে। যার জেরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি কিংবা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে কাশ্মীর, লাদাখ, গিলগিট , বালতিস্তান, মুজফফরাবাদ, হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে। মাসের একদম শেষে রাজস্থানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় কিংবা ধূলোর ঝড় হতে পারে। অন্যদিকে দক্ষিণভারতে আগামী চার থেকে পাঁচদিন বৃষ্টি হতে পারে।