আজ বিজয়া দশমী , বিজয়া মানেই মায়ের যাবার পালা। বাপের বাড়ি ছেড়ে উমা এবার যাত্রা করবে কৈলাশের পথে। সারাটা বছর অপেক্ষার পর পুজোর এই ৫ টা দিন যেন মাকে কাছে পেয়েও মন ভরে না। তাই মায়ের যাবার বেলায় সকলেরই চোখ জলে ভরে ওঠে।
দেবী দুর্গা পৃথিবীতে নেমে এসেছিলেন ভক্তদের কষ্ট দূর করতে। বিজয়া দশমীর দিন আবারও মর্ত্যলোক ছেড়ে স্বর্গলোকে প্রস্থান করবেন দেবী। অগণিত ভক্তের মনে আজ তাই বিদায়ের বিষাদ। দেবীর বিদায়ের কষ্ট ভুলে থাকতে এবং হাসিমুখে বিদায় জানানোর জন্য দশমীতে সিঁদুর খেলার চল রয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতি কারণে এবার সিঁদুর খেলা যাবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। । শুধু রীতি অনুযায়ী ‘সিঁদুর বরণ’ করা যাবে।
দুর্গা পুজায় সবশেষ রীতিটি হচ্ছে ‘দেবী বরণ’। এটি শুরু হয় বিবাহিত নারীদের সিঁদুর খেলার মাধ্যমে। বিবাহিত নারীরা সিঁদুর, পান ও মিষ্টি নিয়ে দুর্গা মাকে সিঁদুর ছোঁয়ানোর পর একে-অপরকে সিঁদুর মাখিয়ে দেন। তারা এই সিঁদুর মাখিয়ে দুর্গা মাকে বিদায় জানান। কিন্তু করোনা কালে এবার সিঁদুর খেলা বন্ধ। তাই বলে মায়ের বরণ হবে না, তাতো হতে পারে না। সেজন্য এবার কলকাতা শহরের মহিলারা মাতলেন পিপিই পরে মায়ের বরণে।
ঠাকুরপুকুরের এক পুজো মণ্ডপে দেখা গেল পিপিই কিট পরেই মহিলারা মাতলেই মায়ের বরণে।
দমশীর দিন পিপিই কিট পরেই ধুনুচি নাচেও সামিল হতে দেখা যায় এয়োস্ত্রীদের।
প্রতিমা বরণের পর ধুনুচি নাচের শেষে এই বার মায়ের বিদায় পালা। চারিদিকে রব ওঠে ‘বলো দুগগা মাই কি, জয়’। ‘আসছে বছর আবার হবে’।
এবারের শারদোৎসবের বেরঙিন আমেজটাই ছড়িয়ে পড়ল চারিদিকে। করোনার গ্রাসে বোধন অঞ্জলি, সন্ধি পুজা কুমারী পুজো,গল্প , আনন্দ, স্টাইল ফটোশেসন, খাওয়া দাওয়া সিঁদুর খেলা সবই বন্ধ হয়েছে এবার । তার মাঝেই পিপিই কিট পরে দেবী বরণের মধ্যে দিয়ে উৎসবে মাতলেন সকলে।