নবান্ন অভিযান ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্র পরিস্থিতিতে কাঁপল হুগলি পারের দুই জেলা হাওড়া ও কলকাতা। কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে নামে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। যদিও কর্মসূচিকে অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
নবান্ন অভিযান ঘিরে অশান্তি এড়াতে বাড়তি সতর্ক পুলিশ মহল। নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। নবান্ন অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ৫টি অ্যালুমিনিয়াম ব্যারিকেড, যে কোনও অশান্তি নিয়ন্ত্রণে করতে কমব্যাট ফোর্স, ব়্যাফ, কিউআরটি, এইচআরএফএস, জলকামান রাখা হলেও সমস্ত ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে আন্দোলনকারীরা।
যদিও আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানে অংশ নেননি চিকিৎসকেরা। বেলা সাড়ে ১২টা হতেই নবান্নের হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
হেস্টিংসে একদিকে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ছোট গাড়ি চলাচল করলেও বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। নবান্ন অভিযান রুখতে সব রকমের ব্যবস্থা করে পুলিশ।
তবে কোনও ব্যারিকেডেই আন্দোলনকারীদের আটকানো যায়নি। সাঁতরাগাছিতে নবান্ন অভিযানের মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর, ইট ছোড়ে আন্দোলনকারীরা।
হাওড়া ব্রিজ, সাঁতরাগাছিতে কাঁদানে গ্যাসের সেল, জলকামান ছোড়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে আন্দোলকারীরা। এজেসি বোস রোডে তুলকালাম পরিস্থিতি হয়। হাওড়া ময়দানে আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটে মাথা ফাটে পুলিশের।
কয়েকজন আন্দোলনকারী নবান্নের নর্থ গেটের কাছাকাছি চলে আসেন। জানা যায়, তাঁরা নবান্ন চত্বরেই থাকেন।
এই ঘটনার পর বিজেপি সাংবাদিক বৈঠক করে কাল বুধবার রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাকে। পুলিশি লাঠিচার্জের অভিযোগে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। ২৮ অগাস্ট কোনও বাংলা বনধ হবে না পাল্টা বলেন কুণাল ঘোষ।
বনধের ডাক নিয়ে মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামিকাল সমগ্র রাজ্যে স্বাভাবিক জনজীবন সচল থাকবে।
দোকানপাট খোলা রাখবেন। সরকার সকল অনুকূল আইনানুগ ব্যবস্থা করবে। কোথাও কোনও ক্ষয়ক্ষতি হলে সরকার দেখবে।
যানবাহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে হবে। সকল প্রাইভেট বাস, মিনিবাস চালাতে হবে। বাংলাকে সর্বক্ষেত্রে সর্বভাবে সচল রাখা হবে।
সরকারি কর্মচারীদের সরকারি নির্দেশ, অফিস-কাছারিতে স্বাভাবিকভাবে আসবেন।